সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ কুমারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের বদলে বিহারেও নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে সেই ভগবান রামের উপর ভরসা করছে গেরুয়া শিবির। রবিবার পশ্চিম চম্পারণে নির্বাচনী জনসভা করতে গিয়ে সেকথাই প্রমাণ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে শেষ লগ্নের প্রচারে তুলে আনলেন রাম মন্দির ইস্যু। বিরোধীরা নিরীহ মুখ করে এবিষয়ে নির্বিচারে জনগণকে মিথ্যে কথা বলেছে বলেও অভিযোগ করলেন তিনি।
আগামী ৩ নভেম্বর বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে রবিবারই ছিল নির্বাচনী প্রচারের শেষদিন। সেই উপলক্ষে পশ্চিম চম্পারণে জনসভা করতে এসে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির প্রধান মুখ নরেন্দ্র মোদি। মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবকে কটাক্ষ করে বলেন তিনি, ‘প্রত্যেকটি জায়গায় গিয়ে নিষ্পাপ মুখ করে মিথ্যে কথা বলছে বিরোধীরা। নিজেদের স্বার্থ মেটানোর জন্যে তথ্যে বিকৃতি করছে। কিন্তু, চম্পারণের মানুষ তাদের মিথ্যে কথায় কখনই ভুলবে না। কারণ, আত্মনির্ভর বিহার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চম্পারণ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখানে বাপু ও জয়প্রকাশ নারায়ণের গৌরবময় ইতিহাস লেখা হয়েছে। বাজপেয়ী সরকারের সময় জোট শরিক থাকাকালীন এখানকার থারু উপজাতির জন্য প্রচুর কাজ করেছিলেন নীতীশ কুমার।’
[আরও পড়ুন: ‘যাঁদের আত্মসম্মান আছে, তাঁরা ধর্ষিতা হলে আত্মঘাতী হন’, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক]
এরপরই রাম মন্দির তৈরির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু, যারা রামের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তাদের কোনওদিন ভুলবেন না। তাদের কাছে যেমন এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই তেমনি নেই সঠিক যুক্তি। তারা শুধুমাত্র রাজনীতির জন্যই সবকিছুর বিরোধিতা করতে চায়। আতঙ্ক ও গুজব ছড়ায়। ওরা বলেছিল এনডিএ তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের সংরক্ষণ তুলে দেবে। কিন্তু, সেখানে এনডিএ সরকার ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে।’