shono
Advertisement

‘বাংলাদেশের দরকার নেই, গোটা বিশ্বকে ইলিশ খাওয়াবে বাংলাই’, দাবি মমতার

ইচ্ছা থাকলেও বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে না পারায় আক্ষেপ মমতার। The post ‘বাংলাদেশের দরকার নেই, গোটা বিশ্বকে ইলিশ খাওয়াবে বাংলাই’, দাবি মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:22 PM Jul 02, 2019Updated: 05:22 PM Jul 02, 2019

স্টাফ রিপোর্টার: আর বাংলাদেশের উপর ভরসা নয়। গোটা বিশ্বকে ইলিশ খাওয়াতে পারবে বাংলাই। বাংলার পুকুরে ইতিমধ্যে ইলিশ মাছ চাষ চলছে। গুরুত্ব আরও বাড়াতে ডায়মন্ডহারবারে ইলিশ মাছ রিসার্চ সেন্টার তৈরি হয়েছে। সেখানে ডিম উপাদনের কাজ চলছে। আগামিদিনে পুরোদমে হবে মাছ উৎপাদন। বিধানসভায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে না পারায় আক্ষেপও করেন মমতা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নুসরতের সম্প্রীতি বার্তায় মুগ্ধ ইসকন, মৌলবাদীদের ফতোয়া উড়িয়ে থাকছেন রথযাত্রায়]

মঙ্গলবার রাজ্যের মাছ উৎপাদন নিয়ে বলতে উঠে প্রথমেই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি না হওয়ায় তা নিয়ে বাংলাদেশ আক্ষেপ জানিয়েছিল। বাংলার সরকারও আক্ষেপ প্রকাশ করেছিল। সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “তিস্তার জল দিতে পারিনি ওদের। সেটা নিয়ে ওদের দুঃখ আছে। ওরা বন্ধু দেশ। আমাদের উপায় থাকলে দিতাম। ওরাও ইলিশ মাছ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত গত চার বছর ধরে এ পাড়ে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ওপার বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলার মানুষ মাছে-ভাতে থাকে। ইলিশের চাহিদার জন্য আমরা ইলিশ মাছের রিসার্চ সেন্টার করেছি। বাংলায় এখন আর ইলিশের অভাব নেই। এখানেই প্রচুর ইলিশ হচ্ছে। দু’-এক বছরের মধ্যে আর বাইরে থেকে ইলিশ নিতে হবে না। তা ছাড়া আমাদের ইলিশ উৎপাদনের রিসার্চ সম্পূর্ণ হলে আগামিদিনে আমরা সারা পৃথিবীতে ইলিশ মাছ সরবরাহ করতে পারব।”

[আরও পড়ুন: সারদা মামলায় ফের স্বস্তি রাজীব কুমারের, গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল হাই কোর্ট]

আরও বেশি পুকুর খনন করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ইতিমধ্যে সরকার ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে প্রথম লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। পরবর্তী পদক্ষেপে পরিবেশের কথা চিন্তা করে আরও বেশি পরিমাণে পুকুর খননের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাম বিধায়ক আনিসুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে ৫০ হাজার পুকুর কাটার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু আমরা তিন লাখ পুকুর কেটেছি। ১০০ দিনের কাজ হচ্ছে। বন্যার সময় অনেক জল এই পুকুরে ধরা থাকে। গরমের সময় আবার এই জলই কাজে লাগে।” তিনি আরও বলেন, “৫০০ কোটি টাকার চেক ড্যাম করা হয়েছে। তা যেমন একদিকে পরিবেশ বাঁচাচ্ছে। তেমনভাবে এটা বন্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।” এর পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণে দামোদর ইরিগেশন প্রজেক্ট লোয়ার বেসিনের কাজ হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

The post ‘বাংলাদেশের দরকার নেই, গোটা বিশ্বকে ইলিশ খাওয়াবে বাংলাই’, দাবি মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement