পেটের দায়ে দু’জনেই শিক্ষকতা করেছেন। তবে ইতিহাস তাঁদের মনে রেখেছে– সুচিকিৎসার জন্য ও কালজয়ী প্রাইমার লেখার সুবাদে। তাঁরা দুই ভাই– নীলরতন সরকার ও যোগীন্দ্রনাথ সরকার। আজ, চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ। লিখছেন দেবাশিস পাঠক।
ছোটবেলায় ‘হাসিখুসি’ দিয়ে পড়াশোনা শুরু করে রোগজর্জর শেষ বয়সে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন– এমন বাঙালির সংখ্যা নেহাত অল্প নয়। কিন্তু ক’জন বাঙালি জানেন– ‘হাসিখুসি’-খ্যাত যোগীন্দ্রনাথ সরকার ও কিংবদন্তি চিকিৎসক নীলরতন সরকার আসলে দুই ভাই।
১৮৬১, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম। সেই বছরই সাড়ে চার মাস পরে জন্ম নীলরতনের। মধুর সমাপতনে পরবর্তীতে দু’জন হলেন পরম বন্ধু। কথিত, রবীন্দ্রনাথ তঁাকে ডাকতেন ‘নীলু’ বলে। ১৯১৬ সাল থেকে তিনি ছিলেন কবির চিকিৎসক ও পরামর্শদাতা। ডায়মন্ড হারবারের নেত্রা গ্রামে ১৮৬১ সালের ১ অক্টোবর জন্মান নীলরতন। বাবা নন্দলাল সরকার, মা থাকোমণি দেবী। তখন নীলরতনের বয়স সাত। ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে ভিটেমাটি ধ্বংস হল। পঁাচ ছেলে, তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে নন্দলাল উঠলেন শ্বশুরবাড়ি জয়নগরে।
এই জয়নগরেই ১৮৬৬ সালে ২৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন যোগীন্দ্রনাথ সরকার। অষ্টম গর্ভের সন্তান। আর, এখানেই গুরুতর অসুস্থ থাকোমণি দেবী টাকার অভাবে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। চোখের সামনে মাকে ধুঁকে-ধুঁকে মারা যেতে দেখে রোখ চেপে যায় ১৪ বছরের নীলরতনের। বড় হয়ে ‘ডাক্তার’ হতেই হবে– স্থির করেন!
[আরও পড়ুন: ন্যায় সংহিতায় বাড়ল পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ? কী বলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী]
১৮৭৬ সালে জয়নগর হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করলেন নীলরতন। ভর্তি হলেন শিয়ালদহের ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুলে, যা এখনকার ‘এনআরএস’। শিক্ষাজীবনে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। সংসার সচল রাখতে শিক্ষকতা শুরু করেন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অবিনাশচন্দ্র। সেই সময়ে উপার্জনের জন্য নীলরতনও শিক্ষকতা, পরীক্ষার হলে পাহারা, জনগণনা ইত্যাদি কাজ করেছেন। ছাত্রজীবনেই তিনি প্রখ্যাত চিকিৎসক তামিজ খানের প্রিয় ছাত্র হয়ে উঠলেন। ১৮৮১ সালে এলএমপি পাস করলেন ভালভাবে। কিন্তু সেই ব্রিটিশশাসিত ভারতে মেডিক্যাল শিক্ষায় প্রচলিত ছিল বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। দেশীয় ছাত্রদের জন্য বাংলায় পঠনপাঠন হত, যদিও মেডিক্যালের বই সব ইংরেজিতে। এবং তার অনুবাদ কখনওই যথার্থ হত না। বাংলা ভাষায় ডাক্তারি পাস করা দেশীয় ডাক্তারদের জন্য নির্ধারিত ছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জনের চাকরি। এই চাকরি করতে অপমানিত বোধ করলেন নীলরতন।
প্রত্যাখ্যান করেন চাকরি। পেশা বদলে চাতরা হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক হয়ে চলে গেলেন। ১৮৮৫ সালে ভর্তি হলেন মেডিক্যাল কলেজে। ক্যাম্পবেল স্কুলের তৎকালীন সুপার ম্যাকেঞ্জি সাহেবের সুপারিশে। তখন সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মেডিক্যাল কলেজ’ হয়নি, নাম ‘বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ’। নীলরতনের রেজাল্ট এত ভাল ছিল যে, পঁাচ বছরের ডাক্তারি কোর্সে সরাসরি তৃতীয় বর্ষে ভর্তি হলেন। মর্যাদাপূর্ণ ‘গুড ইভ’ বৃত্তি পেলেন পড়াশোনায় উৎকর্ষের জন্য। ১৮৮৮-তে কৃতিত্বের সঙ্গে এমবি পাস করলেন। মেয়ো হাসপাতালে হাউস সার্জনশিপ করতে-করতে এমএ এবং এমডি-র প্রস্তুতি শুরু করলেন। ১৮৮৯ সালে একই সঙ্গে দু’টি পরীক্ষাতেই সসম্মান উত্তীর্ণ হলেন। এই সময়ে সরোজিনী নাইডুর বাবা অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত অঘোরনাথ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করছেন। সেখানে সহকর্মী ছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত– পরবর্তীতে স্বামী বিবেকানন্দ।
ওদিকে, ১৮৮৩ থেকে নন্দলাল সপরিবার জয়নগর ত্যাগ করে কলকাতায় বসবাস শুরু করেছেন। সেখানে থেকে দেওঘর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যোগীন্দ্রনাথ বসু দেওঘর নিয়ে যান যোগীন্দ্রনাথকে। তঁার ইশকুলে ভর্তি করে দেন। সেখান থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন যোগীন্দ্রনাথ সরকার। ফিরে এলেন কলকাতায়। আরম্ভ করলেন সিটি কলেজে এফএ পড়া। কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য পড়া অসম্পূর্ণ রেখেই সিটি কলেজিয়েট ইশকুলে শিক্ষকতা আরম্ভ করেন। বেতন পনেরো টাকা। দুই ভাই-ই পেটের দায়ে শিক্ষক!
সে-সময় ছোটদের বইয়ের সত্যি অভাব ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘সাধনা’ পত্রিকার ১৩০১ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যায় লিখলেন, ‘...ছোট ছেলেদের জন্যে যে সকল বই আছে তাহা স্কুলে পড়িবার বই; তাহাতে স্নেহের বা সৌন্দর্যের লেশমাত্র নাই, তাহাতে যে পরিমাণ উৎপীড়ন হয় সে পরিমাণ উপকার হয় না।’ বিষয়টা ভাবিয়েছিল যোগীন্দ্রনাথকেও। ১৮৯১ সালে প্রকাশিত হল তঁার সংকলিত ‘হাসি ও খেলা’। বাংলায় প্রকাশিত প্রথম সচিত্র শিশুপাঠ্য বই। নিবেদন অংশে সংকলক যোগীন্দ্রনাথ লিখলেন, “আমাদের দেশে বালক বালিকাদের উপযোগী স্কুলপাঠ্য পুস্তকের নিতান্ত অভাব না থাকিলেও গৃহপাঠ্য ও পুরস্কার-প্রসাদযোগ্য সচিত্র পুস্তক একখানিও দেখা যায় না। এই অভাব কিঞ্চিৎ পরিমাণে দূর করিবার জন্যে ‘হাসি ও খেলা’ প্রকাশিত হইল।” এরপর এল যোগীন্দ্রনাথের কালজয়ী বই ‘হাসিখুসি’। ‘অ-য়ে অজগর আসছে তেড়ে/ আ-এ আমটি আমি খাবো পেড়ে/ ই-তে ইঁদুরছানা ভয়ে মরে/ ঈ-তে ঈগল পাখি পাছে ধরে’– এখনও বাংলার শিশুরা পড়ে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’ বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সহজ পাঠ’ কালজয়ী পাঠ্যপুস্তক হলেও শিশুদের কাছে ‘হাসিখুসি’-র ছড়াগুলো যেন সবথেকে সহজবোধ্য হয়ে ধরা দিয়েছে।
শিশুসাহিত্যের গম্ভীর আকাশে যোগীন্দ্রনাথ সত্যি যেন প্রথম চাঁদের হাসি ঢেলে দিতে পেরেছিলেন। ভাই যোগীন্দ্রনাথ যখন বাংলা শিশুসাহিত্যের কলম্বাস হয়ে উঠছেন, তখন বাংলার চিকিৎসা জগতে ধন্বন্তরির ভূমিকায় অবতীর্ণ দাদা নীলরতন। ১৮৯৭-তে প্রকাশিত হয়েছিল ‘হাসিখুসি’। সাত বছর আগেই, ১৮৯০-তে নীলরতন এমডি হন। এর আগে মাত্র ছ’জন এমডি পরীক্ষায় পাস করেছেন। পাস করার পরে ৬১ নম্বর হ্যারিসন রোডে (এখন মহাত্মা গান্ধী রোড) নিজের বাড়িতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন। সে-যুগে দেশীয় চিকিৎসকদের ‘ভিজিট’ ছিল ২ টাকা, ৪ টাকা, ৮ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে, সাহেব ডাক্তারদের ভিজিট ১৬ টাকা, ৩২ টাকা, ৬৪ টাকা। নীলরতন প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরুই করলেন ১৬ টাকা ভিজিটে। সেই ভিজিট ক্রমে ৬৪ টাকায় পৌঁছয়।
[আরও পড়ুন: হিন্দুদের অপমান করেছেন রাহুল! রেগে লাল ‘রাম’]
তবে কখনও গরিব কোনও রোগীকে অর্থাভাবে চিকিৎসায় প্রত্যাখ্যাত হয়ে তঁার দরজা থেকে ফিরতে হয়নি। পথ থেকে তুলে এনে বহু মানুষকে নিজের ৭ নম্বর শর্ট স্ট্রিটের বাড়িতে রেখে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করেছেন। বিপুল রোজগার করেছেন, আবার স্বদেশি শিল্প গড়তে গিয়ে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ‘স্বদেশি শিল্প’ বিস্তারের ভাবনায় সাবান তৈরির ব্যবসা, চা ও চামড়ার ব্যবসা খুলেছিলেন। উত্তরবঙ্গে রাঙামাটি চা বাগান অধিগ্রহণ করেছিলেন। ১৯১০ সাল নাগাদ লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বাঙালি লেদার টেকনোলজিস্টের সাহায্যে কলকাতায় ট্যানারি চালু করেন। ৯২ আপার সার্কুলার রোডে কালীকৃষ্ণ ঠাকুরের বাগানবাড়িতে ১৯০৬ সালে সাবান কারখানা চালু হয়েছিল।
সেখানে ‘বিজয়া সাবান’ তৈরি হত। অবশ্য ব্যবসায়ী তিনি কোনও দিনই ছিলেন না। দেনার দায়ে সাধের বসতবাড়ি বিক্রি করতে হয়। তাতে দমেননি মোটেই। বলেছেন, ‘কলকাতায় ২০ টাকায় ভাড়ার ঘর পাওয়া যায়। তাতেই আমার চলে যাবে।’ প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করার পরবর্তী পঁাচ দশকে দেশের চিকিৎসকদের মধ্যে তিনি অগ্রগণ্য, খ্যাতির শিখরে। নীলরতন ও যোগীন্দ্রনাথের ভাগনে স্বনামধন্য রাশিবিজ্ঞানী প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ স্মৃতিচারণে বলেছেন, ‘রাজারাজড়ার ঘরেও যেমন, সেই সব নিতান্ত সামান্য লোকের ঘরেও ঠিক তেমন করেই তিনি চিকিৎসা করেছেন। তঁার (নীলরতন) কথায়, ব্যবহারে, চেহারায় ছিল অগাধ ভরসা। কী করে রোগীর মন প্রফুল্ল হয়, সে দিকে লক্ষ্য ছিল। মরণাপন্ন রোগীর পাশে গিয়ে যখন দঁাড়াতেন, তখন তঁার সেই বরাভয় মূর্তি দেখে সকলের মনে আশার সঞ্চার হত। নীলরতন সরকার আসছেন, আর কোনও ভয় নেই!’
নীলরতনের জীবনতরী যেমন বঁাকবদল করতে-করতে এগচ্ছিল, যোগীন্দ্রনাথের জীবনের নৌকোও তেমনই পাড় বদলাচ্ছিল। সিটি স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি ‘মুকুল’ পত্রিকার কার্যাধ্যক্ষর দায়িত্ব নিয়েছেন। সে-সময় একমাত্র উড ব্লক প্রস্তুতকারক প্রিয়গোপাল দাস। ‘মুকুল’-এর জন্য প্রিয়গোপালের কাছে প্রায়ই ছুটতে হত যোগীন্দ্রনাথকে। নিয়মিত সময়ে রোজ স্কুলে পৌঁছনো সম্ভব হত না। মাইনে তো মোটে পনেরো টাকা। সেটা থেকেও বেশ কিছু টাকা লেটের দায়ে কাটা পড়ত। শেষমেশ স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে যোগীন্দ্রনাথ নেমে পড়লেন বই প্রকাশনায়। ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নিজস্ব প্রকাশনালয় ‘সিটি বুক সোসাইটি’। সেখানে থেকেই প্রকাশিত হয় যুগান্তকারী প্রাইমার ‘হাসিখুসি’। সহজ ভাষায় শিশুদের গুনতে শিখিয়েছে এই বই। হারাধনের দশটি ছেলের এক-এক করে হারিয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে বিয়োগের অঙ্ক শেখানোর মাস্টারমাইন্ড যোগীন্দ্রনাথ।
‘হাসিখুসি’-র দ্বিতীয় ভাগে তিনি মুনশিয়ানার সঙ্গে এক-এক করে আবার ফিরিয়ে আনলেন হারাধনের দশ ছেলেকে, আর সহজেই যোগ অঙ্কের কাজটাও শিখিয়ে দিলেন ছোটদের। আইরিশ কবিতা ‘টেন লিটল ইন্ডিয়ান বয়েজ’ নামক একটি নার্সারি রাইমের অনুকরণে লেখা এই ছড়া। ‘সিটি বুক সোসাইটি’ থেকে যোগীন্দ্রনাথ নিজের বই ছাড়াও উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, দ্বিজেন্দ্রলাল বসু, নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, চণ্ডীচরণ বন্দোপাধ্যায়, কুলদারঞ্জন রায়, অমৃতলাল গুপ্ত প্রমুখ সমসাময়িক শক্তিশালী শিশুসাহিত্যিকের বহু গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর কালজয়ী বই ‘ছেলেদের রামায়ণ’ ও ‘মহাভারতের গল্প’ প্রথম এখান থেকেই প্রকাশিত হয়েছিল, যা পরে ‘ইউ রে অ্যাণ্ড সন্স’ থেকে পুনর্মুদ্রণ করেন উপেন্দ্রকিশোর নিজেই।
কাজের চাপে রক্তচাপ বাড়ছিল। ১৯২৩ সালে মস্তিষ্কের শিরা ছিঁড়ে জ্ঞান হারালেন যোগীন্দ্রনাথ। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ল ডানদিক। তাতে কী! এর পরেও অনেক সময় মুখে-মুখে তিনি বলতেন, আর স্ত্রী গিরীবালা দেবী কাগজে তা লিখতেন। আর সমস্ত প্রুফ সংশোধনের কাজই তিনি অনায়াসে করে ফেলতেন বামহাত দিয়ে। এভাবেই বের হল ‘গল্প সঞ্চয়ন’, ‘ছোটদের উপকথা’ এবং ‘আগমনী’। তবে জীবদ্দশায় মেয়ের মৃত্যু সহ্য করতে পারেননি। ১৯৩৭ সালের ২৬ জুন মারা যান।
দাদা নীলরতন সরকার তখনও প্রবল কর্মব্যস্ত। রবীন্দ্রনাথ প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রত্যেকে নিদান দিলেন, এবার অপারেশন করতেই হবে। স্বয়ং বিধানচন্দ্র রায়েরও একই কথা। আর, নীলরতন সরকার? তঁাকে নাকি খবরই দেওয়া হয়নি! জোড়াসঁাকোতে অপারেশন শুরু হল। কোনও এক সূত্র থেকে খবরটা কানে গেল নীলরতনের। ছুটলেন জোড়াসঁাকোয়। দেখলেন, বিছানায় শায়িত রবীন্দ্রনাথ। জ্ঞানহীন। একটু মাথায় হাত দিলেন কবির। তারপর বেরিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথ মারা গেলেন ১৯৪১ সালে। দুই বছর পরে, ১৯৪৩ সালে ১৮ মে, বিদায় নেন বাংলার প্রবাদপ্রতিম এই চিকিৎসক। শেষ শয্যায় ভাগনে প্রশান্ত মহলানবীশ পাশে বসে শুনলেন নীলরতনের অন্তিম স্বগতোক্তি– ‘বড়ো একা লাগে...’।
(মতামত নিজস্ব)
লেখক প্রাবন্ধিক
debashispathak2014@gmail.com