shono
Advertisement

নজরে চিন, প্রতিপক্ষের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তৈরি ভারতের ‘বুদ্ধিমান’বোমা

দুই ফ্রন্টে একসঙ্গে লড়াই চালাতে তৈরি ভারত।
Posted: 08:47 AM Nov 04, 2021Updated: 08:48 AM Nov 04, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে চোখ রাঙাচ্ছে চিন (China)। কাশ্মীরকে রক্তাক্ত করছে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। ফলে দু’টি ফ্রন্টে একসঙ্গে লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। এহেন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে স্মার্ট বোমার সফল পরীক্ষা করল ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এবং বায়ুসেনা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অরুণাচলে হঠাৎই কালো হয়ে উঠছে নদীর জল, ভাসছে মরা মাছ, কাঠগড়ায় চিন!

প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বুধবার অর্থাৎ ৩ নভেম্বর জয়সালমেরের চন্দন টেস্ট রেঞ্জে ‘স্মার্ট অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপন’ বা স্মার্ট বোমাটির সফল পরীক্ষা করা হয়। এদিন সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি গাইডেড বোমাটিকে বায়ুসেনার একটি বিমান থেকে ছোঁড়া হয়। প্রত্যাশামতোই নিখুঁতভাবে সেটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এর আগেও একাধিকবার, জয়সালমেরে বোমাটির কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখেছে ডিআরডিও ও বায়ুসেনা। এবং এবারও এই হাতিয়ারের কার্যক্ষমতা দেখে খুশি দেশের প্রতিরক্ষা মহল।

এক বিবৃতিতে ডিআরডিও জানিয়েছে, এই হাতিয়ারটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। স্যাটেলাইট ও ইলেকট্রো-অপটিক্যাল সেন্সরের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু খুঁজে বের করে এই ‘বুদ্ধিমান’ বোমা। ফলে একবার বিমান থেকে ছোঁড়ার পর পাইলট নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যেতে পারবেন। মূলত, শত্রুপক্ষের বিমানঘাঁটির রানওয়ে ধ্বংস করে দিতে এটি ব্যবহার করা হবে। কারণ, রানওয়ে নষ্ট হয়ে গেলে যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমান আর অকাশে ডানা মেলতে পারবে না। বিশ্লেষকদের মতে, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলি এবার এই বোমার আওতায় চলে আসবে।

উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তে থাবা বাড়াচ্ছে লালচিন। কাশ্মীরে জেহাদের আগুনে ঘি ঢালছে পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন সময়ে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীকে আরও ঘাতক করে তুলতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। এই টাকা থেকে সরকারি বিমান নির্মাণকারী সংস্থা ‘HAL’-এর থেকে ১২টি লাইট হেলিকপ্টার কেনা হবে। পাশাপাশি, নৌসেনার রণতরীর জন্য ভারত ইলেক্ট্রনিক্স থেকে লিংকস ইউ ২ ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমও ক্রয় করা হবে। একইসঙ্গে ডরনিয়ার বিমানগুলির আধুনিকরণও করা হবে। সবমিলিয়ে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় জোর দিয়ে দেশীয় সংস্থা থেকে যুদ্ধে জরুরি এই সরঞ্জামগুলি কেনা হবে।

[আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিল আমেরিকা, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না’, পালটা চিনের

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement