সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকেই আছেন যাঁরা লিটার লিটার মদ উড়িয়ে দেন নিমেষে। কিন্তু নেশা হয় না। মানে তিনি যে আকণ্ঠ মদ পান করেছেন, টেরও পাওয়া যাবে না। না টলবে পা, না বেরোবে অসংলগ্ন কথা। যাঁরা এসব করে নিজেকে হিরো বলে ভাবেন তাঁরা হয়তো জানেন না অজান্তে কী বিপদ ডেকে আনছেন। একটি পরীক্ষা বলছে, প্রচুর মদ্যপান করেও যাঁরা মদ্যপ হন না তাঁদের মস্তিষ্কের আকার ক্রমশ ছোট হয়ে যায়।
পার্টিতে গিয়ে আকণ্ঠ মদ্যপান করেও একদম পরিষ্কার কথা বলছেন। কোনও অসংলগ্নতা নেই। চারপাশের লোকজন চুপিসারে বলছে, ‘জাতে মাতাল, তালে ঠিক’। ফিসফিসানি কানে যাচ্ছে সেই ব্যক্তির। এসব শুনে তিনি আরও দু’পাত্তর ঢেলে নিলেন। এক্কেবারে ছবির হিরো হিরো ভাব! আপনিও কি এ দলে পড়েন? ভাববেন না, আপনি হিরো হয়ে গিয়েছেন। কারণ মনে করে দেখুন, সিনেমার হিরোদের মদ খেলে পা টলে, অসংলগ্ন কথাবার্তা বের হয়। ফিল্মি দুনিয়া ছেড়ে আসা যাক আসল ঘটনায়। যদি আপনি এই তালিকায় পড়েন, তাহলে জেনে রাখুন আপনি যেমন নিজের বিপদ ডেকে আনছেন, তেমনই বিপদ ডেকে আনছেন আপনার আগামী প্রজন্মেরও। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড ব্রেন সায়েন্সের’ প্রফেসররা একটি গবেষণা করেছিলেন ঠিক এই বিষয়েই। সেই গবেষণার ফলাফল বলছে, যাদের অতিরিক্ত মদ্যপান করার পরেও নেশা হয় না তাদের ক্ষতি হচ্ছে মস্তিষ্কে। এই যে নেশা না হওয়া, তা আসলে মস্তিষ্ককে সঙ্কুচিত করে দেওয়ার ফল। ক্ষতি হচ্ছে আগামী প্রজন্মেরও। ক্ষতি হচ্ছে জিনগতভাবে। গবেষণা অনুযায়ী, প্রচুর মদ্যপান করেও নেশা না হওয়া ব্যক্তির পরবর্তী প্রজন্মেরও মদে আসক্তি আসছে নির্দিষ্ট বয়সের পরে।
[আরও পড়ুন : চা কড়চা, গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি’র এই গুণাগুনগুলি জানেন তো? ]
গবেষকরা ভিন প্রজন্মের তিনটি মস্তিষ্কের উপর পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। প্রথমে তাঁরা যমজ ও যমজ নয়, এমন ভাই বোনেদের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তারপরে তাঁরা পরীক্ষা চালান ওই পরিবারের এমন সন্তানদের উপর যারা মদ ছুঁয়েও দেখেনি।
এরপরে গবেষকরা ওই পরিবারের বিভিন্ন মস্তিষ্কের কোষ নিয়ে তার ‘পোস্টমর্টেম’ করেন। সবমিলিয়ে এই তিন পর্যায়ের গবেষণা চালানোর পর তাঁদের কাছে উপরোক্ত ফলাফল এসে পৌঁছায়। তাই পরবর্তীকালে মদ্যপ হলে এ তথ্য অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
[আরও পড়ুন :অজান্তেই নিয়মিত শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিক, জানেন কী বিপদ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য?]
The post প্রচুর মদ্যপান করেও নেশা হচ্ছে না! আপনি এই রোগের শিকার নন তো? appeared first on Sangbad Pratidin.