shono
Advertisement

চাকরি হারানোয় বদলা? কর্নাটকে সরকারি আধিকারিক খুনে গ্রেপ্তার ড্রাইভার

সৎ ও সাহসী আধিকারিকের হত্যায় অন্য প্রশ্নও উঠছে।
Posted: 01:08 PM Nov 06, 2023Updated: 01:17 PM Nov 06, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের বাড়িতে খুন হয়েছেন কর্নাটকের (Karnataka) খনি ও ভূতত্ত্ব দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রতিমা কেএস। উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যে। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন এক গাড়ি চালককে সোমবার গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সরকারি দপ্তরের গাড়ি চালাত ওই যুবক। দিন দশেক আগেই ডেপুটি ডিরেক্টর প্রতিমার নির্দেশে চুক্তি ভিত্তিক ওই চালককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। একটি সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, বরখাস্ত হওয়ায় বদলা নিতেই প্রতিমাকে হত্যা করেন তিনি।

Advertisement

বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) সুব্রমন্যাপোরা এলাকার বাড়িতে গত আট বছর ধরে থাকছিলেন ৪৫ বছরের প্রতিমা এবং তাঁর পরিবার। শনিবার বাড়ি ছিলেন না খনি ও ভূতত্ত্ব দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টরের স্বামী এবং ছেলে। তাঁরা শিবমোগা জেলার তীর্থহল্লিতে গিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় কাজের পর প্রতিমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন সরকারি দপ্তরের বর্তমান ড্রাইভার। এদিন রাতেই খুন হন তিনি।

[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশ নির্বাচন: ভোট ময়দানে জয়-বীরু, গব্বর-কালিয়ারা!]

রবিবার সকালে বাড়িতে আসেন প্রতিমার ভাই। তিনি প্রথম দেখেন বোনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধে ৬টা অবধি অফিসে ছিলেন প্রতিমা। এর পর গাড়িতে বাড়ি পৌঁছান। পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, শনিবার রাত ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে খুন করা হয়েছে প্রতিমাকে। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, গলার নলি কেটে হত্যা করা হয় খনি ও ভূতত্ত্ব দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টরকে। অভিযুক্ত গাড়ি চালকের নাম কিরণ। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি সরকারি দপ্তরে গাড়ি চালকের কাজ করছিলেন। দিন দশেক আগেই বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, এর জেরে অভিযুক্ত হত্যা করেন প্রতিমাকে।

নিহত ডেপুটি ডিরেক্টরের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, দপ্তরের সাহসী আধিকারিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন প্রতিমা। বিভিন্ন সময়ে তাঁর নেতৃত্বে একাধিক রেড করেছে খনি ও ভূতত্ত্ব দপ্তর। কাজের জন্য যথেষ্ট সুনাম ছিল তাঁর। সাম্প্রতিককালেও বেশ কিছু অভিযান চালান প্রতিমা। প্রশ্ন উঠছে, তার জেরেই কী শত্রু তৈরি হয়েছিল তঁর? সেই কারণেই কি হত্যা করা হল সৎ এবং কর্তব্যপরায়ণ সরকারি আধিকারিককে? সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement