সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওষুধের দোকানের পাশাপাশি এখন থেকে মুদির দোকানেও বিক্রি হবে ওষুধ! সম্প্রতি এমনই নীতি নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। নীতি রূপায়নে কেন্দ্রের তরফে গঠন করা হয়েছে ৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটিও। এর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠল 'অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টের' অধীন এ রাজ্যের 'বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন' (বিসিডিএ)।
ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ওষুধে প্রেসক্রিপশন (Prescription) লাগে না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই ওষুধগুলি এবার ওষুধের দোকান ছাড়াও মুদির দোকান বা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যাতে বিক্রি করা যায়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে বিসিডিএ (BCDA)। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে না পারে তার জন্য আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে তাদের অভিযোগ, মুদি দোকান, পান দোকান বা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কর্মীরা কী রোগীকে বুঝিয়ে বলতে পারবে কীভাবে ওই ওষুধ খেতে হয়। বিসিডিএ-এর অভিযোগ, আগে ওটিসির (OTC) অধীনে ৬০ ধরনের ওষুধ ছিল। যেগুলি হল মাউথ ওয়াস, অ্যান্টিসেপটিক লোশন ও ক্রিম, অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম, অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, কাশির লজেন্স, কোষ্ঠকাঠিন্যের সিরাপ, গর্ভনিরোধক বড়ি, প্যারাসিটামল, নেজাল স্প্রে ইত্যাদি। সরকার চাইছে এই তালিকাটা আরও লম্বা করতে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছেন স্বাতী! ভিডিও প্রকাশ করে বিস্ফোরক দাবি কেজরির দলের]
শুধু তাই নয় বিসিডিএর অভিযোগ, আগে ওটিসি ওষুধ এভাবে বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হত দুর্গম জায়গাতে। যেখানে জনসংখ্যা হাজারেরও কম। তবে সেই নিয়ম তুলে দিয়ে সরকার এখন চাইছে ৪০০ ধরনের ওষুধকে এর অন্তর্গত করতে। শুধু তাই নয়, এই তালিকায় রয়েছে বেশকিছু অ্যান্টিবায়োটিকও। যার জেরেই প্রশ্ন উঠছে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার নিয়ে চারিদিকে যখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সেখানে এই ওষুধকে কীভাবে যত্রতত্র বিক্রির অনুমোদন দিতে পারে সরকার। সঠিক পদ্ধতি না মেনে এভাবে ওষুধ বিক্রির অনুমোদন অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে দাবি করছে বিসিডিএ।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশিকার পরেও রাজ্যের নির্বাচিত ৭ নামে আপত্তি বোসের, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ফের জটিলতা]
উল্লেখ্য, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ওষুধের দোকানের অভাবকে গুরুত্ব দিয়ে কয়েক মাস আগে এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এ জন্য সুবিধা-অসুবিধার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের চিকিৎসা অধিকর্তার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। জানা যাচ্ছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুদিখানা দোকানে এই ধরনের ওষুধ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় যেখানে পাঁচ-দশ কিলোমিটারের মধ্যে ওষুদের দোকান নেই। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই এবার সরব হয়ে উঠল বিসিডিএ।