শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: থানার মালখানা থেকে উধাও নেশার সামগ্রী। উধাও ৭৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার এবং ২০ বোতল কাফ সিরাপ! বিপুল পরিমাণ নেশার সামগ্রী গেল কোথায়? শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার বিরুদ্ধে ওঠা চাঞ্চল্যকর অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের হরিশ ট্যান্ডন এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে এডিজি উত্তরবঙ্গকে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানা দুই মাদক পাচারকারী কাছ থেকে ২২ বোতল কোডেন মিকচার কাফ সিরাপ এবং ২৬৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে। পরবর্তীতে জুডেশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাস্ট কোর্ট শিলিগুড়ির কাছে ১৯০ গ্রাম ব্রাউন এবং ২ বোতল কোডেল মিকচার পেশ করে। মামলা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠতেই বিষয়টি দুই বিচারপতির নজরে আনেন অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী বিশ্বরূপ রায়।
[আরও পড়ুন: ১৫ মিনিটে ৩ হাজার লোক জড়ো করেন শাহজাহান! আগাম জামিনের বিরোধিতায় যুক্তি ইডির]
আদালতে তিনি জানান, অভিযুক্তদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে তার কম পরিমান সামগ্রী শিলিগুড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাস্ট কোর্টে পেশ করেছে পুলিশ। ২৬৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে দেখানো হয়েছে ১৯০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। অন্যদিকে ২২ বোতল কাফ সিরাপ উদ্ধার করে পুলিশ দেখিয়েছে দুই বোতল কাফ সিরাপ। পুলিশের মালখানা থেকে বাকি ৭৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার এবং ২০ বোতল কাফ সিরাপ গেল কোথায় এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিশ্বরূপবাবু জানান, ঘটনা শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ এডিজি উত্তরবঙ্গকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা করবেন এডিজি। ১০ দিন পর পুনরায় এই মামলায় শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।