সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ভালবেসে বিয়ে করেছে ছেলে। কিন্তু, বিয়েতে মত ছিল না মেয়ের বাড়ির লোকের। থানায় অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগে ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। কিন্তু, সদ্য বিবাহিত ছেলেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবে পুলিশ! মেনে নিতে পারেননি বৃদ্ধ বাবা। আপত্তি জানানোয়, মদ্যপ পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারে বেঘোরে মরতে হল ওই বৃদ্ধকে। ঘটনায় থানায় হাউস অফিসার রত্না কুমার, এসআই নন্দন কুমার পাসোয়ান-সহ অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
[FIR দায়ের করতে আসা অভিযোগকারীকেই কেক খাওয়াল পুলিশ!]
ঘটনাটি বিহারের। সাতামাড়ি জেলার বোরহা গ্রামের বাসিন্দা বছর ষাটেকের কান্তলাল মাহাতো। সম্প্রতি মেয়ের বাড়ির অমতে গ্রামেরই যুবতীকে বিয়ে করেন তাঁর ছেলে গুড্ডু। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় কাটরা থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে গুড্ডুর শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ পাওয়ার পর, রবিবার সকালে কান্তলাল মাহাতোর বাড়িতে যায় পুলিশ। মৃতের স্ত্রী নিজের সারদা দেবী নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, পুলিশকর্মী যখন তাঁদের বাড়িতে পৌঁছন, তখন তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপ ছিলেন। পুলিশকর্মীরা জোর করে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূকে জোর করে বাড়ির বাইরে নিয়ে যান। কান্তলাল প্রতিবাদ করেন। এরপরই তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বছর ষাটের ওই বৃদ্ধ।
[বেঙ্গালুরুতে ভাঙল বাড়ি, মৃত্যু আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা-সহ ৭]
ঘটনার পর, বিকেল কান্তলাল মাহাতোর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য ফের গ্রামে যায় পুলিশ। তাঁদের উপর হামলা চালান গ্রামবাসীরা। ধাওয়া করে পুলিশকর্মীদের গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে গ্রাম লাগোয়া জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলে। শেষপর্যন্ত সোমবার সকালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাতে সমর্থ হয় পুলিশ।
[সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলা থেকে মালিককে বাঁচল পোষ্য সারমেয়]
ঘটনায় স্থানীয় কাটরা থানার হাউস অফিসার রত্না কুমার, এসআই নন্দন কুমার পাসোয়ান-সহ অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত কান্তলাল মাহাতোর স্ত্রী সারদাদেবী। মদ্যপ পুলিশ কর্মীদের মারেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ সুপার বিবেক কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ‘ খুব তাড়াতাড়ি রিপোর্ট জমা দেবে তদন্ত কমিটি। এখন অটোপসি রিপোর্ট জন্য অপেক্ষা করছি। যদি রিপোর্টে দেখা যায়, মারধরের ফলে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে, তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
[জন ধন যোজনার সাফল্যে গ্রামে কমছে মদ-গুটখার প্রবণতা]
The post ছেলের বাঁচাতে গিয়ে মদ্যপ পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারে মৃত্যু বৃদ্ধের appeared first on Sangbad Pratidin.