ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পুজোর মরশুমে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’ (Duare Ration) প্রকল্পে। রাজ্যের অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে যাবে রেশন। এই মুহূর্তে ১৫ শতাংশ বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে খাদ্যদপ্তর। এবার আরও ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ সবমিলিয়ে রাজ্যের ৫০ শতাংশ গ্রাহকের বাড়িতে রেশন দিতে যেতে হবে। এবং তা দিতে হবে ৯ দিনে। খাদ্যদপ্তরের (Food and supplies department) তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
খাদ্যদপ্তরের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুজোর মাস অক্টোবরের প্রথম ৯ দিন চলবে এই পাইলট প্রজেক্ট। কারণ, পুজোর দিনগুলো বাদ দিয়ে ৯ দিন মতো কাজের দিন হাতে পাওয়া যাবে। সেই ৯ দিনের মধ্যেই রাজ্যের ৫০ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে রেশন। আগে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় পেত ডিলাররা। বাকি ১৫ দিন গ্রাহকরা দোকানে আসতেন। পাইলট প্রজেক্ট (Pilot Project) হিসাবে এটাই ছিল শর্ত। কিন্তু এবার সময় ৬ দিন কমে গেল। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, “পাইলট প্রজেক্ট বলেই আমরা গ্রাহকের ফিডব্যাক নিয়ে তাদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই পুজোর মধ্যে ৫০% বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: জলমগ্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সন্তানকে হাঁড়িতে ভাসিয়ে পোলিও টিকা খাওয়াতে নিয়ে এলেন বাবা!]
ডিলাররা খাদ্যদপ্তরের এই নির্দেশে অখুশি। তাদের দাবি, পুজোর মরশুম মানে ছুটি। সেসময় কেউ কাজ করতে চায় না। কর্মী, এমনকী ডিলাররাও উৎসবের মেজাজে থাকে। তাই এই নির্দেশ কী করে মানা সম্ভব, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে দপ্তরকে পালটা চিঠিও দিয়েছে তারা। যদিও সেই আবেদনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেই দপ্তর সূত্রে খবর। ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর কথায়, “এমনিতেই আমাদের একাধিক দাবি নিয়ে কোনও আশার আলো দেখাতে পারেনি দপ্তর। তার উপর আবার নতুন নির্দেশ। পুজোর মধ্যে তা মানা অসম্ভব।”
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে জ্বরের বলি আরও তিন শিশু, ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ]
এর আগে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু করার দিন স্থির করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তার আগেরদিনই হাই কোর্টে (Calcutta HC) এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়। কিন্তু উচ্চ আদালত সরকারের পক্ষেই রায় দেয়। রেশন ডিলারদের করা স্থগিতাদেশের আরজি খারিজ করে দেওয়া হয়। ফলে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবেই শুরু হয় বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ। এবার পুজোর মরশুমে সেই কাজে আরও গতি আনছে খাদ্যদপ্তর।