সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেহরক্ষীর সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক তো আর প্রকাশ্যে আনা যায় না। হাজার হোক তিনি দেশের শাসকের স্ত্রী। তাই সেই দেহরক্ষীর মুখ বন্ধ রাখতে চলল অকাতরে খরচ। উপহার বিলি করা। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না।
বেশ কয়েক বছর পর প্রকাশ্যে এল দুবাইয়ের (Dubai) বর্তমান শাসক তথা রাজা শেখ মহম্মদ অল মখতুমের ষষ্ঠ পত্নী হায়ার কীর্তি। তাঁর দেহরক্ষী রাসেল ফ্লাওয়ার্সের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। এমনকী, দুজনের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছিল। সেই কথা চাপা দিতেই উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন : আগ্রাসী চিন, লালফৌজকে রুখতে ‘সাবমেরিন বাহিনী’ বানাচ্ছে তাইওয়ান]
৪৬ বছরের রানি হায়ারের সঙ্গে তাঁর ৩৭ বছরের দেহরক্ষী রাসেল ফ্লাওয়ার্সের সম্পর্ক ছিল। মেইল অনলাইনের খবর অনুযায়ী, হায়া তার দেহরক্ষী রাসেলকে দিয়েছেন ১.২ মিলিয়ন ইউরো। এ ছাড়া একাধিক মূল্যবান উপহারও দিয়েছেন রানী। তালিকায় রয়েছে এক ভিন্টেজ শটগান, অপূর্ব কারুকাজ করা সিগার রাখার এক হিউমিডর। এর মধ্যে থাকা সিগারেরই মূল্য নাকি শুধু কয়েক হাজার পাউন্ড! এখানেই শেষ নয়, প্রচুর টাকা খরচ করে বিশেষভাবে গাড়ির নেমপ্লেটও বানিয়ে দিয়েছিলেন হায়া। তাতে সৌভাগ্যসূচক সংখ্যা বসিয়ে লেখা ছিল- RU55ELLS! যার মোট মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা।
এ ছাড়া ফ্লাওয়ার্স পরিবারের বিশেষ এক চুনি বসানো আংটিও হায়া রাসেলকে উপহার দিয়েছিলেন। রাসেল এই সব উপহার, নগদ এবং রানির প্রেমে মুখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই তা মানতে পারেনি রাসেলের স্ত্রী। বিবাহবিচ্ছেদেরও সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি। খবর মোতাবেক, রানি এবং শেখের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা যখন লন্ডন হাই কোর্টে ওঠে, তখন সন্তানদের কাস্টডি নিয়ে টানাপোড়েন চলার সময়েই এই গোপন সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে!