অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে (North Bengal) চলছে টানা বৃষ্টি। আর তার ফলে ছোট বড় ধস লেগেই রয়েছে। বুধবার রাতভর বৃষ্টির জেরে সেবক ও কালিঝোরার মাঝে হাতিশুঁড়ের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ধস নামে। তার ফলে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন বাংলা ও সিকিম। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ। ধসের জেরে মৃত্যু হয়েছে রিঞ্চেন তামাং নামে একজনের। এদিন শালুগাড়া থেকে সেবক যাওয়ার সময় পাথর অটোর উপর পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
একটানা বৃষ্টির ফলে ধস যেন পাহাড়ে লেগেই রয়েছে। দিনকয়েক আগে ২৯ মাইলের কাছে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে (NH-10) ধস নামে। তার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দার্জিলিং ও সিকিম। তার আগে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলাকালীন মামখোলায় আচমকাই নামে ধস। ৫ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়ে যান। মৃত্যুও হয় এক শ্রমিকের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধস। বুধবার রাতে সেবক ও কালিঝোরার মাঝে হাতিশুঁড়ের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ধস নামে। তার ফলে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন বাংলা ও সিকিম। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ। যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই।
[আরও পড়ুন: করোনাকালে Kanyashree প্রকল্পের টাকায় মাস্ক বিলি, বাঁকুড়ার ছাত্রীকে কুর্নিশ জানাবে রাজ্য]
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে চলবে ভারী বৃষ্টি (Rain)। বৃহস্পতিবার ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দু-এক জায়গায়। শুক্রবার এবং শনিবার উত্তরবঙ্গে কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ১৫ আগস্টও ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরের জেলাগুলি। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই আংশিক মেঘলা আকাশ এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতাতেও দিনভর বআজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে।