সম্যক খান, মেদিনীপুর: যেন সিনেমার দৃশ্য। ধরুন যেমন ভূমিকম্পের কোনও দৃশ্যে যেমন দেখা যায় আর কী! চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত বাড়ি। নিমেষেই ধূলিসাৎ তৃণমূল কার্যালয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) বিশ্রীপাটের এই ঘটনা মোবাইল ক্যামেরাবন্দি করলেন অনেকেই। বর্তমানে তা সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপাচ্ছে।
একে তো সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। তার উপর আবার ছিল নিম্নচাপের প্রভাব। জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে প্রায় সর্বত্র। সেই ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি পশ্চিম মেদিনীপুর। রবিবার সকালে তারই বিপজ্জনক রূপের দেখা মিলল। এদিন বিশ্রীপাট এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে ফাটল দেখা যায়। বিপদের আশঙ্কায় তড়িঘড়ি তৃণমূল কার্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে যান স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটল বিপর্যয়। জলের তোড়ে চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তৃণমূল কার্যালয় (TMC Party Office)। ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন অনেকেই। তবে কেউ কেউ যেন তা বিশ্বাসই করতে পারেননি প্রথমে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, “ঠিক যেন সিনেমার মতো ভেঙে পড়ল। বিশ্বাসই করতে পারছি না। ভাগ্যিস কেউ ছিল না। নইলে বড় বিপদ হয়ে যেত।” দলীয় কার্যালয় ভেঙে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিমর্ষ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: ‘আসানসোলের পাশাপাশি দলেরও ক্ষতি হবে’, বাবুলকে BJP ও সংসদে চান জিতেন্দ্র]
এদিকে, দিনকয়েকের টানা বৃষ্টির (Rain) ফলে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলির আরামবাগ, খানাকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। শনিবার থেকেই ময়ূরাক্ষী ও কানা ময়ূরাক্ষীতে জলস্তর বাড়ার কারণে জলমগ্ন মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর অঞ্চলের সোনাভারুই, ভড়ঞা, তারাপুর, মজলিসপুর, কয়থা ও বৈদনাথপুর-সহ বেশ কিছু গ্ৰাম। ইতিমধ্যেই জলের তলায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমি।
ডিভিসি জল ছাড়ায় প্লাবিত হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরও। বাঁধ ভেঙে ঢোকা জলে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। জলের তলায় হুগলির আরামবাগ, খানাকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যেই প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
টানা বৃষ্টির ফলে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বিপর্যস্ত উত্তরের জেলাগুলিও। রবিবারও মিরিকে (Mirik) বিডিও অফিসের সামনে ফের ধস (Landslide) নামে। কিছুক্ষণের মধ্যে ধস মেরামতির কাজ করা হয়।