সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলীপ ট্রফিতে জয় একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল ইন্ডিয়া এ দলের। রিকি ভুঁইয়ের দুরন্ত সেঞ্চুরিও হার বাঁচাতে পারল না ইন্ডিয়া ডি-র। অন্য ম্যাচে ড্র হয়ে গেল ইন্ডিয়া সি ও বি দলের লড়াই। যেখানে নয়া রেকর্ড গড়লেন সি দলের বোলার বোলার অংশুল কাম্বোজ।
দলীপে প্রথম ইনিংসে ২৯০ রান করেছিল ইন্ডিয়া এ। পালটা জবাবে মাত্র ১৮৩ রানে থেমে যায় শ্রেয়স আইয়ারের ডি দল। ব্যর্থ হন অধিনায়ক নিজেও। দ্বিতীয় ইনিংসে আর থামানো যায়নি ময়ঙ্ক আগারওয়ালদের। ৩৮০ রানে ডিক্লেয়ার করে দেয় এ দল। জয়ের জন্য ডি দলের কাছে লক্ষ্য ৪৮৮ রান। তৃতীয় দিনের শেষে ডি দলের রান ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৬২। কিন্তু বিরাট রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ তাঁরা। শ্রেয়স আইয়ার (৪১) ও সঞ্জু স্যামসন (৪০) এদিনও বড় রান করতে পারলেন না। একা লড়াই চালিয়ে যান রিকি ভুঁই। ১৪টা চার ও ৩টি ছয়ের সৌজন্যে তিনি ১১৩ রান করেন। কিন্তু তনুষ কোটিয়ান (৭৩/৪) ও শামস মুলানির (১১৭/৩) বোলিংয়ে তিনি কারওর সঙ্গ পেলেন না। ফলে ৩০১ রানে থেমে গেল তাঁদের ইনিংস। এ দল জয় পেল ১৮৬ রানে।
অন্য ম্যাচে বি দলের হয়ে একা লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন বাংলার ব্যাটার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এর আগে ঈশান কিষানের সেঞ্চুরিতে সি দল তুলেছিল ৫২৫ রান। কিন্তু তৃতীয় দিনে এসেই বিপর্যয় ঘটে। অনশুল কাম্বোজের বোলিংয়ে একের পর এক ফিরে গেলেন মুশির খান, সরফরাজ খান, রিঙ্কুরা। শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন অভিমন্যু। বি দলের ইনিংস থামে ৩৩২ রানে। সেখানেই রেকর্ড গড়েন তরুণ বোলার অনশুল কাম্বোজ। ৬৯ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৮ উইকেট। এর আগে দেবাশিস মোহান্তি (৪৬/১০) ও অশোক দিন্দা (১২৩/৮) এক ইনিংসে ৮ উইকেট বা তার থেকে বেশি উইকেট পেয়েছিলেন। এই তালিকায় তৃতীয় হিসেবে নাম উঠল অনশুলের। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে সি দল করে ১২৮ রান। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৬২ ও রজত পাতিদার ৪২ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।