সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যশস্বী জয়সওয়ালের বিতর্কিত আউট নিয়ে উত্তাল ক্রিকেট দুনিয়া। স্নিকোমিটারে কোনও প্রমাণ না পাওয়া গেলেও, কীভাবে আউট দেওয়া হল যশস্বীকে? কড়া সমালোচনার মুখে বাংলাদেশি থার্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত। খোঁচা দেওয়ার সুযোগ ছাড়েননি রবিচন্দ্রন অশ্বিনও (Ravichandran Ashwin)। সদ্য প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনারের ঘোষণা, বাংলাদেশি আম্পায়ারকে স্নিকোমিটারের ব্র্যান্ড আম্বাসাডর করে দেওয়া উচিত।
আউট বিতর্কে যশস্বী পাশে পাননি রোহিত শর্মাকে। ভারত অধিনায়কের মনে হয়েছে, বল ব্যাটে লেগেছে। অন্যদিকে সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তি থার্ড আম্পায়ারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। এমনকী মুখ খুলেছেন বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লাও। সেই বিতর্কে ঢুকে পড়লেন ব্রিসবেন টেস্টের পর অবসর নেওয়া অশ্বিন।
সোশাল মিডিয়ায় শরফুদ্দৌলা সৈকতের ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, 'স্নিকোমিটারের বাজারদর এখন চড়া। এই সুযোগে এই লোকটিকে ওদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করে দেওয়া উচিত।' সেই সঙ্গে অশ্বিনের সংযোজন, 'মজা করেই বলছি'। সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায় অশ্বিনের পোস্ট। যদিও সেটা যে শুধুই 'মজা' করে নয়, তা অত্যন্ত স্পষ্ট। কারণ যশস্বী আউট হওয়ার পরই ভারতের হার একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে ঠিক কী ঘটেছিল? দ্বিতীয় ইনিংসে ৭১তম ওভারে যশস্বী আউট হন। প্যাট কামিন্সের শর্ট বল চালিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটার। তা মিস করলে চলে যায় উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির হাতে। সঙ্গে সঙ্গে ক্যাচের আবেদন জানান কামিন্স। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার তাতে কর্ণপাত করেননি। রিভিউ নিতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি অজি অধিনায়ক। দীর্ঘক্ষণ রিভিউতে এটা পরিষ্কার যে ব্যাটের সঙ্গে বলের কোনও সংযোগ ঘটেনি। স্নিকোমিটারও বারবার তারই প্রমাণ দিয়েছে। তারপর বল ট্র্যাকিংও করেন বাংলাদেশি থার্ড আম্পায়ার। সেখানে তাঁর মনে হয় বল যশস্বীর ব্যাটে লেগে দিক বদল করেছে। সেই কারণেই আউট দিয়ে দেন তিনি। তবে সুনীল গাভাসকরের মতে, ক্রিকেটে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই প্রযুক্তিকে যোগ করা হয়েছিল। ব্যক্তিগত মতামতই যদি প্রাধান্য পায়, তবে প্রযুক্তির কী প্রয়োজন!