নন্দন দত্ত, সিউড়ি: আলোচনা ও প্যাকেজ ঘোষণা ছাড়া দুবরাজপুরের লোবা গ্রামে শিল্প করতে দেওয়া হবে না। কারণ তাঁদের না জানিয়েই গোপনে জমি দখল চলছে প্রাক্তন পুলিশ দিয়ে। এই অভিযোগে এক বেসরকারি সংস্থার গাড়ি-সহ চার প্রতিনিধিদের আটকে তালাবন্ধ করে রাখলেন গ্রামবাসীরা। পরে সন্ধ্যায় দুবরাজপুরের পুলিশের সি আই ও ওসি গিয়ে মুচলেকা দিয়ে প্রতিনিধিদের মুক্ত করেন।
জানা গিয়েছে, লোবা এলাকার কয়লা তোলার জন্য ওই সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে সংস্থার চার প্রতিনিধি ফকিরবেরা গ্রামে ঘুরছিলেন। তখনই গ্রামবাসীরা দুটি গাড়ি আটক করে তাঁদের কৃষিজমি রক্ষাকমিটির ঘরে তালাবন্ধ করে রাখেন। সেই দলে ছিলেন অবসর প্রাপ্ত ডিএসপি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন ওসি দেবব্রত সিনহা-সহ আরও দুজন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তাঁরা শিল্পের পক্ষ। জেলাশাসকের দপ্তরে বস শিল্প করার আগে আলোচনা করতে হবে।
এনিয়ে কৃষিজমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সুদাম ঘোষ জানান, "কোনও প্যাকেজ ছাড়া এলাকায় কিছু গুন্ডা ও দালাল দিয়ে জোর করে জমি দখল করতে চাইছে ওই বেসরকারি সংস্থা। আমরা শিল্প চাই, সঙ্গে প্যাকেজ চাই।" এলাকাবাসী পরিতোষ মন্ডল জানান, "এলাকায় ৩৩৫৩ একর জুড়ে কয়লা আছে। এলাকার ২০টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ ওই জমির উপর নির্ভরশীল। তাঁদের না জানিয়ে গোপনে জমি দখল চলছে প্রাক্তণ পুলিশ দিয়ে।" যদিও দুবরাজপুর সি আই শুভাশিস হালদার ও থানার ওসি আফরোজ হোসেন গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। ওই প্রতিনিধিরা না আসার শর্তে তাঁদের মুক্ত করেন। একইসঙ্গে আমুরি গ্রামে সংস্থার একটি অস্থায়ী অফিস বন্ধের মুচলেকা দেন।