সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝখানে আড়াই বছর। কোভিডের (COVID-19) জেরে এই মহারণ দেখেনি কলকাতা। বঙ্গভঙ্গের সাক্ষী থাকা হয়নি মহানগরের। আড়াই বছর পর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আবার মুখোমুখি হতে চলেছে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিকভাবেই বাঙালির চিরন্তন আবেগের লড়াই দেখার উত্তেজনায় ফুটছে শহর।
সরকারিভাবে ডার্বিতে ৬০ হাজার দর্শক উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal) বনাম রাজস্থান ইউনাইটেড ম্যাচ দেখতে গিয়ে একথা জানান খোদ রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এমনিতে ডুরান্ড কাপে অন্যান্য ম্যাচে হাজার চল্লিশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি থাকলেও ডার্বির কথা মাথায় রেখে সেই উর্ধ্বসীমা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও টিকিটের হাহাকার কমানো যায়নি। ইস্ট-মোহন (Mohun Bagan) দুই শিবিরের সমর্থকদের মধ্যেই টিকিটের জন্য রীতিমতো দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষে করে টিকিটের জন্য লম্বা লাইনের যে ছবি কলকাতা ময়দান দেখতে অভ্যস্ত ছিল, দীর্ঘদিন বাদে ফের সেই ছবি দেখা গিয়েছে। তবে শুধু টিকিট পেলেই হবে না, মাঠে ঢুকতে বেশ কিছু নিয়মও মানতে হবে সমর্থকদের।
[আরও পড়ুন: ‘বলিউডে শুধু স্টার রয়েছে, দক্ষিণেই আসল সিনেমা তৈরি হয়’, বিস্ফোরক অনুপম খের]
ডার্বির নির্দেশিকা:
১. খোলা থাকবে যুবভারতীর সব গেট, প্রতিটি ব্লক ও র্যাম্প চিহ্নিত করা হবে।
২। কোনওরকম নেশার সামগ্রী, জলের বোতল বা দাহ্য পদার্থ নেওয়া যাবে না। সিগারেট, লাইটার, ম্যাচ বক্স, এমনকী শব্দবাজি নিয়ে ঢোকাও নিষিদ্ধ।
৩। বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে অনুমতি রয়েছে ছাতা নিয়ে প্রবেশের।
৪। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তায় থাকবে দু’হাজার পুলিশ। কালোবাজারি রুখতে স্টেডিয়ামের বাইরে থাকবে
পুলিশের বিশেষ দল। ঝামেলা এড়াতে স্টেডিয়ামের প্রতিটি ব্লকে মোতায়েন থাকবে পুলিশ।
৫। গাড়ি ও বাইক পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে সুভাষ সরোবর ও খালপাড় এলাকা।
[আরও পড়ুন: গাড়ির মধ্যেই পুলিশ অফিসারের কোলে উঠে সঙ্গমের আবদার তরুণীর! তারপর…]
যুবভারতীতে শেষ যে ডার্বি হয়েছিল, তাতে জিতেছিল মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলকে ২-১-এ হারিয়েছিল কিবু ভিকুনার দল। আইএসএলে (ISL) গোয়ার মাঠে শেষ ডার্বিতেও রেজাল্ট ছিল মোহনবাগানের পক্ষে। ফেরান্দোর কোচিংয়ে মোহনবাগান জিতেছিল ৩-১ গোলে। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ সাক্ষাতেই জিতেছে সবুজ-মেরুন। কিন্তু এবারের লড়াই অন্যরকম। এই ইস্টবেঙ্গল দল আগের থেকে শক্তিশালী। মোহনবাগানও খানিক অগোছাল। তাই লাল-হলুদ সমর্থকরা যুবভারতীতে সব অঙ্ক বদলে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করবেন।