প্রসূন বিশ্বাস: তখন সদ্য ম্যাচ শেষ হয়েছে। উল্লাসে ভাসছেন রবি, নরহরি, সৌরভরা। শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে গেলেন বাংলা কোচ সঞ্জয় সেন। টাইব্রেকারে হেরেই ২০২২ সালে সন্তোষ ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল বাংলার। সেই কেরলকে হারিয়ে বছরের শেষ দিনে বাংলাকে দেশের সেরা করলেন সঞ্জয় সেন। ম্যাচের শেষে যেন আবেগে ভাসছিলেন বাংলা কোচ সঞ্জয় সেন। যে আবেগ তিনি ধরে রেখেছিলেন সেই গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ থেকে। প্রথম দিন যে কথাটা বলেছিলেন, অপরাজিত ভাবে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও তাঁর গলায় সেই একই কথার প্রতিধ্বনি। গাচ্চিবলি স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় দাঁড়িয়ে সঞ্জয় বলছিলেন, "আমাদের এই অপরাজিত থাকা মূল্যহীন হয়ে যেত ফাইনাল না জিতলে। বাংলায় ট্রফি না জিতলে কোনও দাম নেই।"
বাংলা ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে সেই গ্রুপ পর্বের প্রথম থেকেই। এমনকী কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর সার্ভিসেস ও মণিপুরের মতো শক্তিশালী দলও রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের নিয়ে গড়া বাংলাকে হারাতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল নরহরিদের। আর ছিল রবি হাঁসদার উজ্জ্বল পারফরম্যান্স। এর আগে ৩২ বার সন্তোষ জিতলেও অতীত নিয়ে এতটুকু শব্দ খরচ করতে চান না সঞ্জয়। বরং যোগ করলেন, অতীত নয়। তিনি সামনের দিকে তাকাতে চান। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলা অধিনায়ক চাকু মান্ডির আবেগে গলা ধরে আসছিল। বাংলা অধিনায়কের মুখে রবির প্রশংসা। বলছিলেন, "বড় ভালো খেলেছে রবি। গত ম্যাচেও গোল করেছিল। এই ম্যাচেও গোল করল।" সঙ্গে আরও যোগ করেন, "সবাই সাপোর্ট করেছে বলেই এই জয় এসেছে।" বাংলা দলকে শুভেচ্ছা জানালেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। বলছিলেন, "ইস্টবেঙ্গলের মতো বাংলাও আমাদের হৃদয়ে। বাংলার এই জয় ইস্টবেঙ্গলেরও জয়। পরিকল্পনামাফিক খেলে বাংলা এই জয় তুলে এনেছে। বাংলার এই জয়ের জন্য টিম এবং আইএফএ-র সকলকে শুভেচ্ছা।"