shono
Advertisement

দুগ্গা দুগ্গা! করোনা আবহেই কুমোরটুলি থেকে জার্মানি-আমেরিকায় পাড়ি দিল ফাইবারের দুর্গা

জাহাজে চেপে মা ভারত থেকে জার্মানি যাবে।
Posted: 12:06 PM Jul 04, 2021Updated: 12:06 PM Jul 04, 2021

নব্যেন্দু হাজরা: অতিমারী আবহ (Corona Pandemic) যেন শরতের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে কুমোরটলির অলিগলি থেকে। গতবার শরতে মৃৎশিল্পের আঁতুড়ঘরের ফ্যাকাসে চেহারাটা দেখে মন খারাপ হয়েছিল বাঙালির। বছর ঘুরতে চললেও সেই ছবির বিশেষ পরিবর্তন ঘটল না। পুজোর ১০০ দিন আগে যে ব্যস্ততা ঘিরে ধরে কুমোরটুলিকে (Kumartuli), সেসব কার্যত উধাও। করোনা কালে একধাক্কায় কমেছে বায়না। তাই কাজ চলছে ধীমে-তালে। তবে এত হতাশার মধ্যেও ‘মা’কে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তুতি সারছেন শিল্পীরা। হ্যাঁ, অতিমারীর চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই জার্মানি পাড়ি দিল দুর্গা প্রতিমা।

Advertisement

শুধু জার্মানির বার্লিনই নয়, আমেরিকার নিউজার্সিতেও পাঠানো হচ্ছে শিল্পী মিন্টু পালের তৈরি দুর্গা প্রতিমা। শিল্পীর কথায়, “এই বছর এখনও পর্যন্ত বিদেশ থেকে দু’টো বায়না পেয়েছি। একটা নিউ জার্সি আর একটা বার্লিন যাচ্ছে। সম্পূর্ণ ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রতিমা (Durga Idol)। জাহাজে চেপে মা ভারত থেকে জার্মানি যাবে। প্রায় দু’মাস পর গিয়ে পৌঁছবে।” দেড় লক্ষ টাকার বেশি দাম এই প্রতিমার।

[আরও পড়ুন: সীমান্তরক্ষী সেজে ভুয়ো টিকাকরণের ছক? ‘দেবাঞ্জন দেব’ লেখা BSF কর্তার উর্দি উদ্ধার ঘিরে রহস্য]

বাংলা ক্যালেন্ডারে আষার মাস পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বারোয়ারি হোক বা বাড়ির পুজোর কর্তা, কাউকেই কুমারটুলিতে এসে ঢুঁ মারতেও দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেদিকে নজর প্রত্যেকের। অন্যবার এই মাসে গমগম করে কুমোরপাড়া। এবার ব্যস্ততা ছিটেফোঁটা নেই। নেই শ্রমিকদের হুড়োহুড়ি। বেশিরভাগ শ্রমিকই বিধিনিষেধের আগে ফিরে গিয়েছেন গ্রামের বাড়ি। তাঁদের এখনই ফিরিয়েও আনছেন না শিল্পীরা। কলকাতার পুজোর (Durga Puja) বায়না না থাকলেও অবশ্য অতিমারী আবহে বিদেশের উদ্দেশে প্রতিমা রওনা হওয়ার দৃষ্টান্ত এই প্রথম নয়। তা শুরু হয়েছে আরও তিন মাস আগে। জার্মানি, কানাডা থেকে সিডনি, আমেরিকায় গোটা দশেক প্রতিমা পাঠিয়েছেন শিল্পী কৌশিক বসু। তিনি বলেন, “অন্যবারের তুলনায় বিদেশ থেকে এবার অর্ডার কম। তবে এখানকার পরিস্থিতির থেকে ভাল। এবার ১৬-১৭ টা বাইরে পাঠানোর প্রতিমার বায়না পেয়েছি। অন্যবার থাকে ৩৪-৩৫টা। গতবার অবশ্য খুব কম গিয়েছিল। দিন দুয়েকের মধ্যেই একটা আমেরিকা যাবে।”

তবে এত তাড়াতাড়ি আশা ছাড়ছে না পটুয়াপাড়া। শিল্পীদের কথায়, মা দুগ্গার আরাধনা তো আর বন্ধ হবে না। ছোট করে হলেও হবে। তাই রথযাত্রার দিন হয়তো রথের চাকার সঙ্গে এখানকার শিল্পীদেরও ভাগ্যের চাকা ঘুরবে।

[আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে কলকাতায় সকালেই ঘনাল সন্ধে, উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগের আশঙ্কা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement