সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে বেজে উঠেছে শারদীয়ার সুর। দিকে দিকে দেবীপূজার সূচনালগ্ন। মহাপঞ্চমীর দিনও দুর্গাপুজো (Durga Puja) উদ্বোধনে বেরিয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আলিপুর বডিগার্ড লাইন থেকে একাধিক পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করেন তিনি। আর তারপরই চলে যান চেতলার নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমে। এখানকার আবাসিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বরাবরই নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি বছর পুজো ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে সেখানকার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন। আর এবছর পঞ্চমীর দিন মমতা দেখা করতে এলেন নবনীড়ে। সঙ্গে ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন। মমতাকে কাছে পেয়ে আপ্লুত বয়স্ক আবাসিকরা।
কথা ছিল, পঞ্চমীর দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার পুজোগুলির ভারচুয়াল উদ্বোধন করবেন। সেইমতো বিকেলে তিনি পৌঁছে যান আলিপুর বডিগার্ড লাইনে। সেখান থেকে একটি নেপালি পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা। সেখানে বসেই জেলার পুজোগুলির ভারচুয়াল উদ্বোধন করেন। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) চৌরাস্তার দুর্গাপুজো থেকে বিভিন্ন জেলার পুজো – রিমোটে বোতাম টিপেই মণ্ডপের দরজা খুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মোট ২০ জেলার ২৩৭ টি পুজোর সূচনা এভাবেই করে দিলেন তিনি। এরপরই শারদ আনন্দে মেতে উঠবেন বঙ্গবাসী।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: ‘নতিস্বীকার করছি না’, ‘জুতো’ বিতর্ক উড়িয়ে অবস্থানে অনড় দমদম পার্ক ভারতচক্র]
ভারচুয়াল উদ্বোধন শেষে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান সুরুচি সংঘে (Suruchi Sangha)। দেবী দুর্গার মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে, ফুল দিয়ে পুজোর সূচনা করে দেন।
তারপর তিনি চলে যান চেতলার বৃদ্ধাশ্রম নবনীড়ে (Nabanir)। তাঁকে স্বাগত জানাতে বৃদ্ধ আবাসিকরা ছোটখাটো একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী সময় কাটান। এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক বরাবরই খুব ভাল। গত বছর, করোনা আবহে তিনি উদ্যোগ নিয়ে এখানকার বয়স্ক আবাসিকদের বৃদ্ধাশ্রমের ভিতরেই অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এবারও সেখানে গিয়ে বয়স্কদের সাবধানতার সঙ্গে পুজোর দিনগুলো কাটানোর পরামর্শ দেন।
[আরও পড়ুন: মেহেন্দি হাতেই অস্ত্রোপচার, রোগীর প্রাণ বাঁচিয়ে দাম্পত্যের ইনিংস শুরু সার্জনের]
মহাপঞ্চমীর সকালেই টুইট করে রাজ্যবাসীকে পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “আকাশবীণার তারে তারে জাগে তোমার আগমনী” , এই শব্দবন্ধ দিয়ে তাঁর শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে গিয়েছিল বাঙালির ঘরে ঘরে।