সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহালয়ায় চেতলা অগ্রণীর মাতৃমূর্তিতে চক্ষুদান করেই শারদোৎসবের সূচনা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর থেকে সেই ধারাবাহিকতা চলছে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ প্রতিপদে শহরের অন্তত ১০টি পুজো মণ্ডপের দ্বার খুলে গেল মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। দুপুরে পুজোর উদ্বোধন তিনি শুরু করলেন উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পুজো কলেজ স্কোয়্যার (College Square) থেকে। এখানকার উদ্বোধনে এসে এলাকার ইতিহাস, ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মমতা। নিজের অতীত দিনের কথা বলেন।
এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান খিদিরপুর এলাকায়। সেখানকার কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন সেরে ফের দক্ষিণ কলকাতায় আসেন। সন্ধে পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ঘুরলেন বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে। সবকটি মণ্ডপ থেকেই তিনি জনগণকে পুজোর শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করে উৎসবের দিনগুলোয় মেতে ওঠার কথা বলেন।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: পদ্ম নয়, রীতি মেনে ১০৮টি অপরাজিতায় সন্ধিপুজো হয় উত্তর কলকাতার মিত্র বাড়িতে]
এদিন দুপুর নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে পড়েন পুজো উদ্বোধনের জন্য। সব পুজো উদ্যোক্তারাই চান, তাঁদের দীর্ঘ সময়ের প্রয়াস রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সূচিত হোক। সেইমতো হাজার হাজার অনুরোধ আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনিও কাউকে ফেরান না। সাধ্যমতো চেষ্টা করেন, প্রতিটি মণ্ডপ অন্তত কয়েক মিনিটের জন্য হলেও ঘুরে যাওয়ার। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ স্কোয়ার দিয়ে তা শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর চলে যান খিদিরপুরে। সেখানে ২৫ পল্লি ও ৭৪ পল্লির পুজোর সূচনা করেন।
খিদিরপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান বেহালায়। বড়িশা ক্লাব এবং নূতন দলের পুজোর উদ্বোধন করেন। মণ্ডপ দুটি ঘুরে দেখেন। জনতার প্রতি তাঁরা বার্তা, মাস্ক পরে, নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয়ার আনন্দে মেতে উঠুন। পুজো উদ্যোক্তাদেরও মাস্ক, স্যানিটাইজার রাখার কথা বলেন। মাস্কবিহানী কাউকে দেখলে যেন উদ্যোক্তারাই তা দিয়ে দেন, এ কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেহালা থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে যান হরিদেবপুরের ৪১ পল্লিতে। সেখানে উদ্বোধন সেরে অজেয় সংহতির মণ্ডপে পৌঁছন। মণ্ডপ কিছুক্ষণ ঘুরে দেখেন দুই জায়গাতেই।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: প্যান্ডেলে গিয়ে অঞ্জলি দিতে লাগবে টিকার জোড়া ডোজ, নয়া গাইডলাইন আদালতের]
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর চলে আসেন কসবা এলাকায়। এখানকার বিখ্যাত পুজো বোসপুকুর শীতলামন্দিরের পুজোর উদ্বোধন করেন। তারপর আদি বালিগঞ্জ সর্বজনীন এবং গড়িয়াহাটের হিন্দুস্তান ক্লাব মণ্ডপে যান। মাঝে অবশ্য ২১ পল্লির মণ্ডপে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে সংক্ষিপ্ত আরতির পর সেখানে রাখা একটি ব্ল্যাকবোর্ডে দুর্গার মুখ আঁকেন মুখ্যমন্ত্রী। এভাবেই হাজারও ব্যস্ততার মাঝে বৃহস্পতিবার ডজন খানেক পুজোর উদ্বোধন সেরে ফেলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।