রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হয়েছিল দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে বাংলায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দিল্লি সবুজ সংকেত দেয়নি। ফের বঙ্গ বিজেপির তরফে বলা হয়, অষ্টমীর দিন আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সেই সম্ভাবনাও নেই। শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানালেন, বিশেষ কাজ থাকায় অমিত শাহ অষ্টমীর দিনও আসতে পারছেন না। আসার কথা ভেবেছিলেন তিনি। ফলে পুজোর মধ্যে কলকাতায় আর আসছেন না শাহ। হতাশ গেরুয়া শিবির।
সন্তোষ মিত্র স্ক্যোয়ার-সহ সল্টলেকে বিজেপির উদ্যোগে পুজো এবং সল্টলেকেরই আরেকটি পুজোর উদ্বোধন করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) কয়েকদিন আগে জানান, উদ্বোধনে নয়, অষ্টমীর দিন শাহ আসতে পারেন। পুজোর মধ্যে দলের সবর্ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারও (J P Nadda) আসার সম্ভাবনার কথা বলা হয়। শুক্রবার সল্টলেকে ইজেডসিসি’তে বিজেপির পুজোর উদ্বোধন করবেন সুকান্ত মজুমদারই।
[আরও পড়ুন: এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের, পার্থ-সহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ]
২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধুতি-পাঞ্জাবি পরে একেবারে বাঙালি বেশে পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন। একুশের নির্বাচনকে সামনে রেখে কলকাতায় দুর্গাপুজোর আয়োজন বিজেপির ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর গতবছর আর পুজো হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, একবার সংকল্প করলে তিনবার পুজো করতে হয়। তাছাড়া পুজো বন্ধ করা হলে আমজনতার কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। সেই কারণে গতবছরও ইজেডসিসিতে দু্র্গাপুজো করেছিল বিজেপি।
এবছর দলের একাংশের মত ছিল, সল্টলেকে ইজেডসিসিতে (EZCC) নমো নমো করে পুজো হোক, জাঁকজমক দরকার নেই। তবে আরেক পক্ষ প্রস্তাব দেয়, এবারও বড় করে পুজো হোক। কেন্দ্রীয় নেতারা আসুন। দুর্গাপুজো ঘিরে দলের অন্দরে দু’পক্ষের মতবিরোধ থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়, রাজ্য নেতাদের কারও কোনও জনসংযোগই নেই। এরপরই শোনা যায়, দুর্গাপুজোর সময় রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডা। তবে পঞ্চমীতেই ফের পরিকল্পনা বদল। বঙ্গে আসছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।