শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: লক্ষ্মীপুজোর (Laxmi Puja 2023) মিটতে না মিটতেই ফের মর্ত্যে ফিরলেন দেবীদুর্গা। মঙ্গলবার ‘কুম্ভরানী’র রূপে উমা এলেন করণদিঘির সিঙ্গারদহ গ্রামের শতাব্দী প্রাচীন ঠাকুরদালানে। একদিনেই হল সপ্তমী থেকে দশমীর পুজো। অকাল পুজোয় মাতলেন গ্রামের বাসিন্দারা।
উত্তর দিনাজপুরের নাগর নদীর পাড়ের গ্রামের কান পাতলে আজও ভেসে আসে অকাল দুর্গাপুজোর নেপথ্যের বর্ণময় ঘটনা। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের গোড়ার দিকে কোনও এক দুর্গাপুজোর সপ্তমীর সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিভিন্ন মণ্ডপে দেবীপ্রতিমা দর্শনের জন্য কুমোরপাড়ার এক বধূ নিজের বাড়িতে তৈরি হচ্ছিলেন। সেই বধূ রূপে আদতে ‘দুর্গা’ আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক শতকের বিশ্বাস। সেই থেকেই রাজবংশী অধ্যুষিত দোমহনার সিঙ্গারদহ গ্রামে ‘সোনামতি কুম্ভরানী’ বেশে দুর্গার আরাধনার প্রচলন শুরু হয়। পুজো হয় দশমীতে দেবী বিসর্জনের সাতদিন পরের মঙ্গলবার।
[আরও পড়ুন: কংক্রিটে চাপা পড়ে স্বপ্ন, ট্রাইব্যুনালের রায়ে সিঙ্গুর যেন দ্বিধাবিভক্ত]
জানা গিয়েছে, আজও পুজোর সন্ধ্যায় দেবীকে উৎসর্গ করতে দেবালয়ের সামনে পশুবলি রীতি অটুট রয়েছে। পুজো ঘিরে মণ্ডপ প্রাঙ্গণে চারদিন ধরে মেলার আয়োজন করা হয়। ঝলমলিয়ে উঠে গোটা গ্রাম। সিঙ্গারদহ সোনামতি কুম্ভরানী দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক জয়ন্তী সিংহ বলেন, “আসলে শরৎকালে আর দশটা বাঙালি পরিবারে যেভাবে দেবীবরণ করা হয়, সেইসব আমাদের পুজোতেও রয়েছে। তবে অর্থের অভাবে একদিনই পুজো করতে হয়।”