সম্যক খান, মেদিনীপুর: আকাশের মুখ যতই ভার থাকুক, বর্ষার মতো অঝোর ধারার বৃষ্টি যতই ভাসিয়ে দিক বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত, তবু তো এটা শারদোৎসবের মরশুম। বাংলাজুড়ে উমা আবাহনের তোড়জোড়। প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। পথেঘাটে সর্বত্রই সেই ছোঁয়া। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা সামান্য বদলে নিয়ে বলাই যায়, ‘মুখ ঢেকে যায় (শারদ) বিজ্ঞাপনে’। আর সেই বিজ্ঞাপনে (Advertisement) এবার জায়গা করে নিল নতুন শব্দ। শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানাতে হোর্ডিংয়ে লেখা – শুভনন্দন! যে শব্দ প্রথম শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনের মেলবন্ধন ঘটিয়ে ‘শুভনন্দন’ বলে নতুন শব্দ শিখিয়েছিলেন তিনি। সেটাই দেখা গেল হোর্ডিংয়ে।
মেদিনীপুরে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) সরকারি বিজ্ঞাপনে লেখা ‘শারদীয়ার আন্তরিক শুভনন্দন’। রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে দেওয়া সেই বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ হোর্ডিংয়ে লেখা, ‘শারদীয়ার আন্তরিক শুভনন্দন’। সঙ্গে আর একটি লাইন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। এভাবেই শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে শহরবাসীকে। আর সেই হোর্ডিং আপাতত নজর কাড়ছে সকলের। শুধু মেদিনীপুরেই নয়, বেশ কয়েকটি জেলায় তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের হোর্ডিংয়ে নতুন শব্দটি নজর কাড়ছে। তবে কি শুভেচ্ছা জানাতে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি শব্দটি ট্রেন্ডিং (Trending)?
[আরও পড়ুন: পর্ন সাইটে ছবি ফাঁস জাহ্নবী কাপুরের! হেনস্তার শিকার শ্রীদেবীকন্যা]
বাংলা ভাষা, শব্দ নিয়ে দীর্ঘদিনের চর্চা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে হাজারও কাজের দায়িত্ব সামলে তিনি শিল্প ও সাহিত্যচর্চার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। কবিতার বই আছে তাঁর। ছবি আঁকেন। সেই রয়্যালটির অর্থেই তিনি সাধারণ জীবন যাপন করেন, একথা বারবারই উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে সর্বদাই তিনি থাকেন নতুনের সন্ধানে। নামকরণ থেকে শুরু করে নানা সৃষ্টিমূলক কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। সেভাবেই একদিন শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন শব্দ নিয়ে ভাবতে গিয়ে তিনি উচ্চারণ করে ফেলেছিলেন ‘শুভনন্দন’ শব্দটি। সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি তা ব্যবহারও করেছেন। আর সেটাই শুভেচ্ছা জানানোর নতুন শব্দ হিসেবে ঢুকে পড়ল তালিকায়। পুজোর বিজ্ঞাপনই তার প্রমাণ।