রাজা দাস, বালুরঘাট: সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দুর্গাপুজোয় লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সাবেকির বদলে থিম পুজোর বাড়বাড়ন্ত। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাজছে প্রতিমাও। ফলে শোলার অলংকারে এসেছে বদল। এককথায় বলা চলে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন শোলাশিল্পীরা। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে মন ভালো নেই তাঁদের।
একসময় পুজোর সময় নাওয়া-খাওয়ার সময় পেতেন না শোলাশিল্পীরা। সকাল থেকে রাত চলত লাগাতার কাজ। প্রতিমার অলংকার তৈরি করে লাভও হত বিপুল। পুজোর (Durga Puja 2023) সময় লক্ষ্মীলাভ যত বাড়ত, ততই চওড়া হত মুখের হাসি। তবে দিন বদলেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় অস্তিত্ব সংকটে শোলাশিল্পীরা। বর্তমানে পুকুরগুলিতে বিজ্ঞানভিত্তিক মাছ চাষ শুরু হয়েছে। তার ফলে পুকুর পরিষ্কার করে চলছে মাছ চাষ। শোলা চাষ না হওয়ায় কাঁচামালের অভাব। ফলে শোলার অলংকারের দাম বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: সকালেই মেয়ো রোডের কর্মসূচি শেষ, গান্ধী জয়ন্তীতে রাজ্যপালকে এড়াল তৃণমূল]
বাজেট কাটছাঁট করতে গিয়ে বর্তমানে শোলার অলংকারের ব্যবহার কমছে হু হু করে। প্রতিমার অলংকার তৈরিতে চালু হয়েছে বুলনের কাজ। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতির মুখে শোলাশিল্পীরা। বালুরঘাটের মঙ্গলপুরের বাসিন্দা দিলীপ মালাকার পেশায় শোলাশিল্পী। শোলার অলংকার তৈরি করেই জীবিকা নির্বাহ করেছেন এত কাল। শিল্পের সংকটে রুটিরুজিতে টান পড়ার জোগাড়। সরকারি ভাতার দাবি জানিয়েছেন শিল্পী।
দেখুন ভিডিও: