ধীমান রায়, কাটোয়া: কোনও পরিবারের পুজো ৩০০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কোনও পরিবারের পুজো দুশতকের বেশি পুরনো। জমিদারি না থাকলেও সাবেক আমলের পদ্ধতি প্রকরণ মেনে এখনও হয় পরিবারের দুর্গাপুজো। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে জমিদারবাড়ির ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোগুলি নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। তবে যতই হোক পারিবারিক পুজো বলে কথা। তাই জমিদারবাড়ির পুজো চোখে দেখার ইচ্ছা থাকলেও হুট করেই তো সেখানে যাওয়া যায় না। তাই এবার আগ্রহী পর্যটকদের সেই ইচ্ছাও পূরণ করে দেবে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর।
এবার পর্যটন দপ্তর থেকেই পর্যটকদের ঘুরে দেখানো হবে এলাকার জমিদারবাড়ির পুজোগুলি। এবছর দুর্গাপুজোয় পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে পর্যটন দপ্তর। জেলার পর্যটন আধিকারিক মহম্মদ হোসেন চৌধুরী বলেন, “আমরা জেলার মধ্যে আউশগ্রামের একাধিক জমিদারবাড়ির পুজো পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। পর্যটকরা সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলির আতিথেয়তা লাভের সুযোগ পাবেন। পুজোর প্রসাদ গ্রহণ করতে পারবেন। তারাও বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ পাবেন।”
[আরও পড়ুন: Durga Puja WBTDCL Announcement: AC বাসে ঘুরে দেখুন বারোয়ারি থেকে বনেদি বাড়ির পুজো, ৩টি প্যাকেজ ঘোষণা পর্যটন দপ্তরের]
আউশগ্রাম থানার গুসকরা শহরের বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে রয়েছে গুসকরা শহরের চোংদারবাড়ির পুজো, আউশগ্রামের বননবগ্রামের কাছারিবাড়ির পুজো, কালিকাপুরের রাজবাড়ির পুজো। মানকরের জমিদারবাড়ির পুজোও এই প্যাকেজের মধ্যে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পর্যটন থেকে এই ধরনের উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দূর গ্রামের দুর্গাপুজো।’ জানা গিয়েছে, গুসকরা শহর বা বর্ধমান শহর থেকে পর্যটন বিভাগের নির্দিষ্ট গাড়িতে তুলে নেওয়া হবে পর্যটকদের। তারপর তাঁদের ঘোরানো হবে। থাকছে চা, টিফিন, দুপুরের খাবার এবং ভোগের ব্যবস্থা। দুর্গাপুজোয় সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত চারদিনই এই পরিষেবা দেওয়া হবে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে ‘দূর গ্রামের দুর্গাপুজো ‘ প্যাকেজ নিয়ে একটি পোর্টাল চালু হবে। জেলাপ্রশাসনের ওয়েবসাইট থেকে পর্যটন বিভাগের অপশনে গিয়ে সার্চ করলেই আগ্রহীরা সেখানে বুকিং করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: পাহাড়মুখী পর্যটকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে টয় ট্রেনের জয় রাইডের সংখ্যা]
মহম্মদ হোসেন চৌধুরী জানান, কলকাতাবাসী অনেক পর্যটক গ্রামবাংলার অনেক জমিদারবাড়ির পুজো দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু তারা সরাসরি ওই সমস্ত পরিবারগুলির কাছে পৌঁছতে পারেন না। এবার সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেই বাইরের পর্যটকদের জন্য এই সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।