সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহালয়ার রাতেই শুরু প্যান্ডেল হপিং। উপচে পড়া ভিড় শ্রীভূমিতে। মণ্ডপের বাইরে লম্বা লাইনে আট থেকে আশি সকলেই। সারিবদ্ধভাবে মণ্ডপে ঢুকে প্রতিমা দর্শন করছেন তাঁরা। এর পর পুজোয় আরও ভিড় বাড়বে। তুলনামূলক ফাঁকায় পুজো দেখতেই মহালয়ার রাতে ঠাকুর দেখে নিচ্ছেন বলেই দাবি দর্শনার্থীদের।
কলকাতার বিখ্যাত পুজো মণ্ডপগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। লেকটাউনের এই পুজো এবার ৫২ বছরে পা দিয়েছে। নজরকাড়া থিমে প্রতিবার সকলের মন কাড়েন এই পুজো উদ্যোক্তারা। কখনও বাহুবলীর সেট, কখনও বা পদ্মাবত, পুরীর মন্দির থেকে ভার্টিকান সিটি আবার গতবার ডিজনিল্যান্ডের আদলে তৈরি হয়েছিল মণ্ডপ। চলতি বছর তিরুপতি বালাজি মন্দিরের আদলে সেজেছে শ্রীভূমির মণ্ডপ। আলোর খেলা নজরকাড়া। মণ্ডপের সোনালি আলোর সামনে দাঁড়ালে মনে হবে যেন দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত মন্দিরেই রয়েছেন আপনি।
পুজোর সূচনা থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিবার এখানে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। মঙ্গলবারই এই পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীভূমির পুজো হয় ভিআইপি লাগোয়া রাস্তায়। তা দমদম বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তা। পুজোর দিনগুলিতে সেই রাস্তায় যানজট হয়। এনিয়ে গতবারের মতো এবার সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক তার পরদিনই শ্রীভূমিতে অগণিত মানুষের ভিড়। মণ্ডপের সামনে দর্শনার্থীদের ভিড়। যদিও যানজট সামাল দিতে এবার বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের পর এবার পুজো অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু অন্যরকম। উৎসব নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তাই এবার আদৌ মণ্ডপমুখী হবেন কিনা আমজনতা, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন উদ্যোক্তারা। তবে মহালয়ার প্যান্ডেলমুখী জনতার ভিড় আশা আশঙ্কার দোলাচল যে ঘুচিয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।