স্টাফ রিপোর্টার: দুর্গাপুজোর শেষে বাংলায় এখন বেশ ‘ফিলগুড’ পরিবেশ রয়েছে। হাওয়ায় হালকা শীতের আমেজ, সঙ্গে উৎসবের পরিবেশ। কিন্তু টালা প্রত্যয়ের কর্তাদের জন্য পরিস্থিতি যেন অন্যরকম হয়ে উঠেছিল। টানা ছ’বছর পর হঠাৎ করেই টালা প্রত্যয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন শিল্পী সুশান্ত শিবাণী পাল (২০২৪ থেকে এই নামই লেখেন তিনি)। এমনিতেই কলকাতায় অধিকাংশ বড়ো পুজো বিজয়া দশমীর পরেই পরবর্তী বছরের পুজোর পরিকল্পনা শুরু করে দেয়। তার উপর আগামী বছর টালা প্রত্যয়ের পুজোর শতবর্ষ। ফলে এবারের পুজোর রেশ কাটার আগেই আগামী বছরে নিয়ে কিছুটা চাপেই পড়ে গিয়েছিলেন টালা প্রত্যয়ের কর্তারা। যদিও সেই চাপ সাময়িক, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাটিয়ে উঠলেন তাঁরা। কলকাতার পুরো পরিমণ্ডলের আরও এক পরিচিত নাম তথা প্রখ্যাত শিল্পী ভবতোষ সুতারকে টালা প্রত্যয়ের আগামী বছরের পুজোর দায়িত্ব নিতে রাজি করিয়ে ফেলেছেন কর্তারা। অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাব এবং একে ব্লকের দুর্গাপুজোয় এবার শিল্পীর কাজ নজর কেড়েছে পুজোপ্রেমীদের।
এবারও ঠিক হয়ে গিয়েছিল যে, আগামী বছর ভবতোষ অর্জুনপুরের পুজোর দায়িত্বে থাকবেন। কিন্তু যেহেতু টালা প্রত্যয়ের শতবর্ষ, সব পুজো ছেড়ে খালি এই পুজোর দায়িত্বই কাঁধে তুলে নিলেন ভবতোষ। যে প্রসঙ্গে শিল্পী স্বয়ং বলছেন, “টালা প্রত্যয়ের মতো বড়ো পুজোর শতবর্ষ হচ্ছে আগামী বছর। টালা প্রত্যয়ের কর্তারা দারুণভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ওঁরা এত ভালোভাবে বলেছেন যে আমার রাজি হওয়া ছাড়া কোনও পথ ছিল না।” অর্জুনপুরের দায়িত্ব ছাড়া নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন শিল্পী। বলেন, “টালা প্রত্যয়ের কর্তারা অর্জুনপুরের পুজো কমিটির কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। আমি অর্জুনপুরের কাছেও কৃতজ্ঞ।” অন্যদিকে টালা প্রত্যয়ের কর্তা ধ্রুবজ্যোতি বোস বলেন, “ভবতোষ সুতারের মতো প্রথিতযশা শিল্পীর হাতে পুজোর দায়িত্ব তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।শতবর্ষে টালা প্রত্যয়ের পুজোর মান বিগত বছরগুলির মতো পুজোর শিল্পের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
২০১৯ সাল থেকে টালা প্রত্যয়ের সঙ্গে সম্পর্ক শিল্পী সুশান্তর। গত কয়েক বছরে দর্শনার্থীরা টালা প্রত্যয়ে এসে বিচরণ করেছেন কল্পলোকে। আবার কোনও বছর ‘ঋতি’ থিমে মণ্ডপে চলেছে ভাঙাগড়ার খেলা। চলতি বছরে তাঁর থিম ‘বিহীন’ আকর্ষণ করেছে পুজোপ্রেমীদের। অন্যদিকে, প্রশংসিত হয়েছে ভবতোষ সুতারের কাজও। তবে এর আগে ৪০ হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গায় নিজের ভাবনা তুলে ধরার সুযোগ পাননি তিনি। যে সুযোগ আগামী বছরের পুজোয় তিনি পাবেন টালা প্রত্যয়ে। ফলে কোন থিমে কীভাবে তিনি সাজিয়ে তোলেন উত্তর কলকাতায় এই পরিচিত পুজোকে, এবার সেদিকেই নজর থাকবে পুজোপ্রেমীদের।