সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যালেন্ডারের হিসেব বলছে, শারদোৎসবে মেতে উঠতে এখনও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে মাস দেড়েক। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দেবীপক্ষের সূচনা আর দ্বিতীয় সপ্তাহে ভরপুর দুর্গাপুজোর আনন্দ। তবে প্রস্তুতির জন্য তো বসে থাকা যায় না। বিভিন্ন সর্বজনীন পুজোয় যেমন এখন থেকেই থিম, প্যান্ডেল নিয়ে ভাবনাচিন্তা ও প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। এদিকে, বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে কিন্তু জন্মাষ্টমীর (Janmasthami) দিন থেকেই দুর্গোৎসবের সূচনা হয়ে যায়। রীতি মেনে ওই দিনই কাঠামো ও খুঁটি পুজো হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আগামী সোমবার, ২৬ আগস্ট বেলুড়ে একইভাবে সূচনা হবে শারদোৎসবের।
বেলুড় মঠে (Belur Math) দুর্গাপুজোর বিশেষ খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। পুজোর চারটি দিন এখানে মহাধূমধামে মায়ের পুজো হয়। তা দেখতে ভিড় জমান বহু ভক্ত। বিশেষত অষ্টমী-নবমীর কুমারী পুজোয় উপচে পড়ে ভিড়। বছর চারেক আগে মহামারী কোভিডের (COVID-19) কারণে জনসমাগম নিষিদ্ধ হয়। সেবছর থেকে বেলুড়ের পুজোর লাইভ স্ট্রিমিং (Live Streaming) শুরু হয় তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। আজও সশরীরে না যেতে পারলে সেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ে বেলুড়ের দুর্গাপুজো দেখার সুযোগ পান সকলে।
[আরও পড়ুন: নজরে ছাত্র আন্দোলন, ২৭-এ ‘নিশ্ছিদ্র দুর্গ’ নবান্ন, নিরাপত্তার দায়িত্বে ৯৭ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা]
কিন্তু এই পুজোর (Durga Puja)সূচনা হয়ে যায় অনেক আগেই। তিথি মেনে জন্মাষ্টমীর দিন বেলুড়ে প্রথমে দেবীর কাঠামো পুজো হয়। তার পর সেই ফুল এনে খুঁটিপুজো করা হয়। এর পর কাঠামোয় মাটির প্রলেপ পড়ে, মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী রূপের প্রকাশ ঘটে। রামকৃষ্ণ মিশনের (RKM) সদর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেদিন থেকে এখানে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই ঠিক এই নিয়ম মেনে জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজো হয়। কাঠামোটি এখানে স্থায়ী। প্রতি বছর দশমীতে দেবী বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে এনে ফের রাখা হয়। তাতেই বছর বছর মাটি লেপা হয়। এবছর ২৬ আগস্ট, সোমবার জন্মাষ্টমী। ওইদিন বেলুড়ে হবে দেবী দুর্গার কাঠামো ও খুঁটি পুজো।