অভিষেক চৌধুরী, কালনা: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি কাটতেই পুজোর মুখে প্রায় কোটি টাকার কেনাবেচা পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্রগড়ের বেসরকারি তাঁত কাপড়ের হাটে। পুজোর আগে ছুটির দিন রবিবারে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেল হাটে। ফলে চওড়া হাসি বিক্রেতাদের মুখে।
তাঁত অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে সুনাম রয়েছে কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্রগড়-সহ বিভিন্ন এলাকার। তাঁতশিল্পের উপর নির্ভর করেই জীবন এই এলাকার শিল্পীদের। পুজোর মরশুম পড়তেই তাই বিক্রির হার বাড়ে সরকারি ও বেসরকারি তাঁত কাপড়ের হাটগুলিতে। কিন্তু হলে কী হবে, পুজোর মুখে একনাগাড়ে বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার জেরে তাঁতের হাটে কেনাবেচা কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। যদিও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি কাটতেই পুজোর আগের রবিবার সমুদ্রগড়ের গণেশচন্দ্র কর্মকার তাঁত কাপড়ের হাটে ভোর ৪ টে থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত উপচে পড়ল ক্রেতাদের ভিড়।
[আরও পড়ুন: মিঠুন চক্রবর্তী-গৌতম গম্ভীর, তারকাদের হাতে দুর্গাপুজো উদ্বোধনের ভাবনা বিজেপির]
শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলাই নয়, পাশ্ববর্তী হুগলি, বীরভূম, নদিয়া জেলার প্রচুর ক্রেতাও হাজির হয় এদিন। বেশ কয়েকজন শাড়ি বিক্রেতার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার শুধু শাড়িই বিক্রি হয়েছে বলে জানান এদিন ।ননী সূত্রধর, জিতেন প্রভু, সুজিত বসাক, কৌশিক মণ্ডল নামের ব্যবসায়ীরা জানান, “এদিন ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়েছিল। সারাদিন ধরে খুব ভালো বিক্রি হয়েছে।” হুগলি থেকে আসা রোমি হালদার, সুকন্যা বসাক নামের ক্রেতারা বলেন, “কয়েকবছর ধরেই এখানে পুজোর সময় কেনাকাটা করতে আসি। কারণ খুব কম দামে পাইকারী দরে এখানে ভালোমানের তাঁতের শাড়িও পাওয়া যায়। তেমনই অন্যান্য শাড়িও মেলে।”
হাট কর্তৃপক্ষ সুবীর কর্মকার বলেন, “এই হাটে সবমিলিয়ে আটশোরও বেশি বিক্রেতা রয়েছেন। এদিন ভোর থেকেই দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা ভিড় করেন। সারাদিন ধরেই সমান ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কয়েকদিন খারাপ আবহাওয়ার জেরে ভিড় কম হয়েছিল। রবিবার আবহাওয়া ভালো থাকায় খুব ভালো বিক্রি হয়েছে। আনুমানিক ৯০ লক্ষ টাকারও বেশি কেনাবেচা হয়েছে এদিন।”