সুপর্ণা মজুমদার: সারা বছর জিনস, টপ, স্কার্ট পরা যায়। কিন্তু পুজো আসলেই পার্ণো মিত্রর শাড়ি মাস্ট। আলমারি কিংবা দেরাজে পড়ে থাকা সুন্দর শাড়িগুলো পরার এই তো সময়! ষষ্ঠী থেকে নবমী, একেক দিন একেক শাড়ির পালা।
পুজো নিয়ে এখনই কোনও প্ল্যান হয়নি পার্ণোর। বাড়িতে থাকতে পারেন, প্যান্ডেলে যেতে পারেন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন আবার কোথাও বেড়াতেও বেরিয়ে যেতে পারেন। যদি সুযোগ পান তাহলে কেমন পোশাক পরতে পছন্দ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরেই অভিনেত্রীর জবাব, “পুজোর সময় যদি বের হই শুধু শাড়িই পরি। আর অন্যকিছু পরি না। কারণ শাড়িগুলো কেনা হয় প্রতি বছর। সেগুলো আর পরা হয় না। তাই যখনই পারি শাড়িই পরি। যে কোনও দিন হোক শাড়ি পরি।”
[আরও পড়ুন: পুজোয় হ্যান্ডলুম শাড়ি, রুপোর গয়নায় সাজতে চান? শিখুন স্বস্তিকার কাছে]
শাড়ির প্রতি পার্ণোর যে এত অনুরাগ তা অভিনেত্রীর সোশাল মিডিয়া প্রোফাইল দেখলেই বোঝা যায়। সেখান থেকেই যদি পুজোর কয়েকটি স্টাইল বেছে নেওয়া হয় তাহলে ষষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই ক্যারামেল আর ব্ল্যাকের কম্বিনেশনে তৈরি শাড়িটি বেশ লাগবে।
সপ্তমীর জন্য এই গোলাপি শাড়িটি ফ্রেশ ভাইভ দেবে। কোলোরসোর (Coloroso) তৈরি শাড়িতে সাদা রঙের ব্লাউজ (V-Cut) পরেছেন অভিনেত্রী। স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন সুমিত। আর মেকআপ মৈনাকের। অভিনেত্রীর ছবি তুলেছেন প্রিয়ম বক্সী।
অষ্টমীর সাজে হলুদ রং বেশ মানানসই। যেমন পার্ণোর পরা এই শাড়িটি। নবমীর সাজ একটু ফিউশন হলে মন্দ হয় না। আগের টিমের তত্ত্বাবধানেই এই ফটোশুট করেছিলেন অভিনেত্রী।
অবশ্য, ছোটবেলার পুজোকে এখনও মিস করেন পার্ণো। থিমের চমকে সেই সাবেকিয়ানা হারিয়ে যাচ্ছে, আক্ষেপ অভিনেত্রীর। তাঁর কথায়, “ছোটবেলায় পুরো ব্যাপারটা পারিবারিক ছিল। সবাই মিলে একটা পুজোতে পার্টিসিপেট করত। এখন থিম থিম হয়ে গিয়ে না আমার মনে হয় সেই চার্মটা চলে গেছে। নাকি আমরা… মানে সময়টা পালটে গিয়েছে। আমি যদিও সল্টলেকে থাকতাম পুজোর সময়। সেখানে যখন পুজো হতো, সবাই মিলে মিশে খাওয়া-দাওয়া, পুজোর কাজ বাড়ির লোকেরা করছে… ছোটবেলার পুজোটা সত্যিই খুব নস্ট্যালজিক। বেলুনওয়ালা আসত। প্রত্যেক বছর একটাই বুড়ো দাদু আসতো। এখন সবকিছু বাণিজ্যিক হয়ে গেছে। শুধু প্যান্ডেল দেখা, আর প্যান্ডেল দেখা। সব থিম থিম থিম। পুজোটাকে আলাদা করে অনুভব করে না আমার মনে হয়।”