রাজা দাস, বালুরঘাট: প্রতিমা বিসর্জনের সুবিধায় বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর সদর ঘাটে বসানো হচ্ছে হাইড্রলিক ট্রলি (Hydrolic Trolley)। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ট্রলিতে বিসর্জন হলে সহজে এড়ানো যাবে নদী দুর্ঘটনাও। এছাড়া নদী দূষণের (River Pollution) মত ভয়াবহ সমস্যারও সমাধান মিলবে এই হাইড্রলিক ট্রলিতে। কাজ শুরুর আগে এমনই আশার কথা শোনালেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আগেই শেষ করার লক্ষ্য পুরসভার। হাইড্রলিক ট্রলি বসানো হলে এবারের পুজোর বিসর্জন অনেকটাই মসৃণ হবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারাও।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর বালুরঘাট ও তার আশপাশ এলাকার অন্তত ৯৫ শতাংশ প্রতিমা বিসর্জন হয় বালুরঘাট (Balurghat) শহরের আত্রেয়ী বা সদর ঘাটে। দুর্গা, কালী, গণেশ, বিশ্বকর্মা – নানা পুজোর প্রতিমা বিসর্জনের অন্যতম এই ঘাটে নদী দূষণ বড় সমস্যা। পাশাপাশি প্রতিমা বিসর্জনে (Immersion) অনেক সময় জলে ডোবার মত ঘটনা সামনে আসে। এসব বিষয়কে সামনে রেখে বালুরঘাট পুরসভার পক্ষ থেকে ওই গুরুত্বপূর্ণ নদী ঘাটে বসানো হচ্ছে হাইড্রোলিক ট্রলি। যার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৩ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: এবার মহালয়ার আগেই শুরু প্যান্ডেল হপিং! নামজাদা পুজো দেখা যাবে বিশেষ বাসে চেপে]
শুক্রবার সকালে এই হাইড্রলিক ট্রলি বসানো প্রকল্পর সূচনা হয় বালুরঘাট পুরসভার (Balurghat Municipality) পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, মেয়র পারিষদ অনুজ সরকার-সহ পুর আধিকারিকরা। এছাড়া সেচদপ্তর ও পুলিশের পক্ষ থেকেই আধিকারিকরা শামিল ছিলেন এই কাজের সূচনায়। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। দশমীর দিন বালুরঘাটের বহু দুর্গা প্রতিমা সদর ঘাটে বিসর্জন হয়, বসে মেলা। বহু লোকের সমাগম হয়। হাইড্রলিক ট্রলির মাধ্যমে বিপদমুক্ত এবং খুব সহজেই করা যাবে প্রতিমা নিরঞ্জন৷ সে কারণে পুজোর আগেই কাজ শেষ করার টার্গেট আমাদের। মানুষকে দেওয়া কথা রাখা হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান অশোক মিত্র।