ভোজনরসিক বাঙালির পুজো মানেই পেটপুজো। আর সেই রসনা তৃপ্ত হলে, উদর ‘বাবাজি’র থেকে বেশি খুশি বোধহয় আর কেউ হন না! উৎসবের প্রহর দুয়ারে কড়া নাড়লেই আনন্দের স্বাদ আরও বেশি করে চেটেপুটে নিতে চায় মন। সারা বছর অফিস-বাড়ি সামলে বিশেষ কিছু রান্না করার সুযোগ হয় না। পুজোর দিনগুলোয় পরিবারের জন্য রান্না নিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করবেন ভাবছেন? ষষ্ঠী থেকে দশমী জমজমাট মেনুকার্ড-এর জন্য চোখ রাখুন সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এ।
‘উৎসব-এর উদরপূর্তি’তে আজকের পদ পনির সালান
উপকরণ
পনির ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম, বড় পেঁয়াজ আধখানা, হ্যালাপিনো ৪টে বড়, জিরে গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, তিল তিন চামচ, সরষে গুঁড়ো ১/২ চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ, শুকনো নারকেল ১/৪ কাপ, কালোজিরে ১/২ চা-চামচ, তেঁতুলবাটা ২ চামচ, রসুনের কোয়া ২টো, সাদা তেল ২ চামচ, নুন স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, কারিপাতা কয়েকটা, শুকনো লঙ্কা কয়েকটা, বাদাম ১/৩ কাপ।
প্রণালী
ছোট ছোট টুকরোয় কেটে রাখুন পনির। একটা কড়াইয়ে বাদাম, তিল আর নারকেল শুকনো ভেজে নিন দুই থেকে তিন মিনিট। কোনওভাবেই যেন পুড়ে না যায়। ঠান্ডা হতে দিন। এবার হ্যালাপিনোগুলোয় তেল মাখিয়ে সেগুলো কাঁটা চামচে আটকে আগুনে গ্রিল করে নিন যতক্ষণ না বাইরেটা পুড়ে-পুড়ে আসে। সেগুলো ঠান্ডা করে ছাল ছাড়িয়ে নিন। অর্ধেক করে কেটে নিন। কড়াইয়ে এবার এক চামচ সাদা তেল দিন। পনিরের টুকরোগুলো বাদামি হয়ে আসা পর্যন্ত তেলে সাঁতলে নিন। পেঁয়াজ আর রসুন কোয়া ছাড়ুন পনিরের মধ্যে। ভাল করে ভেজে নিন।
এবার আগে থেকে ভেজে রাখা বাদাম, তিল, নারকেল মিশিয়ে নিন। হলুদ এবং লঙ্কাগুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। আরেকটা প্যানে বাকি সাদা তেল গরম করে তাতে সরষে, জিরে এবং কালোজিরে ঢালুন। কারিপাতা কুচিয়ে ছেড়ে দিন। তাতে তেঁতুল বাটা এবং ৩/৪ কাপ জল মেশান। জলের পরিমাণ চোখের আন্দাজে বাড়িয়ে-কমিয়ে নিতে পারেন। চার থেকে ৫ মিনিট নাড়ান। স্বাদমতো নুন-চিনি দিন। এবার এই মিশ্রণে পনির ও কেটে রাখা হ্যালাপিনো মেশান। ভাল করে কষিয়ে উপরে শুকনো লঙ্কা দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।