সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দামোদর নদের জলস্তর শনিবারের মতো নেই। তবে রবিবার সকাল পর্যন্ত ভাঙা গেট দিয়ে হু হু করে জল ঢুকছে। আর এটিই দুর্গাপুর ব্যারেজের (Durgapur Barrage) লকগেট মেরামতির ক্ষেত্রে এখন অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে। তার ফলে মেরামতির কাজে এখনও হাত দিতেই পারলেন না ইঞ্জিনিয়াররা।
রবিবার সকালে সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত দাস দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শন করেন। কথা বলেন সেচ দপ্তরের বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্যদের সঙ্গে। কিন্তু জলের স্তর না নামা পর্যন্ত ভাঙা লকগেট মেরামতি করা সম্ভব নয় বলে জানান জয়ন্ত দাস। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতা থেকে সেচ দপ্তরের সচিব-সহ একঝাঁক উচ্চপদস্থ আধিকারিক দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শনে আসছেন বলে দুর্গাপুরের সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। কিন্তু কখন ভাঙা লকগেট মেরামতির কাজ শুরু করা যাবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এইদিকে লকগেট মেরামতির কাজে নিযুক্ত এক ঠিকাদার জানান, বালির বস্তা ফেলে ৩১ নম্বর গেট পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা বানানোর কাজ চলছে। সেক্ষেত্রেও কাজ ধীরগতিতে করতে হচ্ছে। কাজের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দামোদরের জলস্তর।
[আরও পড়ুন: ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না’, উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের হুঁশিয়ারি ধনকড়ের]
শনিবার ভোরে দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট হঠাৎ বিকট শব্দে ভেঙে যায়। রাজ্যের ব্যর্থতাতেই লকগেট ভেঙে গিয়েছে বলে দাবি করেন সাংসদ সুভাষ সরকার। উল্লেখ্য, একইভাবে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে ১ নম্বর লকগেট ভেঙে যাওয়াতে বিপত্তি তৈরি হয়। শুরু হয় জলের সংকট। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না তো এখন সেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে সাধারণ মানুষকে। কারণ ইতিমধ্যে শহরের বেশ কিছু প্রান্তে জলের সংকট শুরু হয়ে গিয়েছে। লকগেট মেরামতির কাজ যত তাড়াতাড়ি শুরু হবে ততই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।