সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নেদারল্যান্ডেও মিলল ‘স্টোনহেঞ্জ’। আদপে সমাধিক্ষেত্র হলেও ৪ হাজার বছরের পুরনো ওই সমাধিক্ষেত্রটিতে উপাসনাও চলত বলে মনে করা হচ্ছে। ওই স্থানে বড়সড় একটি সমাধিবেদি যেমন মিলেছে, তেমনই পাওয়া গিয়েছে মানুষ এবং পশুর হাড়। প্রত্নতত্ত্ববিদদের অনুমান, ওই বেদিটি সৌর ক্যালেন্ডার হিসাবে ব্যবহৃত হত, ঠিক ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ‘স্টোনহেঞ্জ’-এর মতো। রটারডাম থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) পূর্বে টিয়েল শহরে আবিষ্কৃত হয়েছে এই অত্যাশ্চর্য পাথুরে প্রতিকৃতি।
জানা যাচ্ছে, যে বিশাল সমাধিবেদিটি মিলেছে, তার ব্যাস অন্তত ৬৫ ফুট। সেখানে মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে অন্তত ৬০ জন মানুষের দেহাবশেষ যেমন খুলি, হাড়গোড়ের টুকরো প্রভৃতি মিলেছে। মিলেছে ব্রোঞ্জের বর্শার মতো মূল্যবান সামগ্রীও। প্রত্নতত্ত্ববিদরা দাবি করেছেন, ওই এলাকাটির সঙ্গে ইংল্যান্ডের চর্চিত ‘স্টোনহেঞ্জ’-এর অদ্ভুত মিল। মনে করা হচ্ছে, এই জায়গাটি স্থানীয় মানুষদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এখানে দেহ সমাধিস্থ করার আগে নানা ধরনের প্রথা পালন করা হত। শোভাযাত্রা করে দেহ আনা হত বলেই বিশ্বাস প্রত্নতত্ত্ববিদদের।
[আরও পড়ুন: নেপালের কোর্টে ‘শাপমোচন’! তবুও মেয়রের হুংকার, ‘শাস্তি দিলেও আদিপুরুষ দেখাব না’]
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে এই এলাকায় খননকার্য শুরু হয়। বেশ কয়েকটি সমাধি মেলে। এর একটি ছিল এক মহিলার। প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি, সেই সমাধিতে একটি কাচের সামগ্রী মিলেছে, যার নকশা দেখে বোঝা যাচ্ছে, সেটি ছিল মেসোপটেমিয়ার। গবেষকদের দাবি, নেদারল্যান্ডের ওই স্টোনহেঞ্জে প্রস্তর যুগ, ব্রোঞ্জ যুগ, লৌহ যুগ, রোম সাম্রাজ্য-সহ আরও নানা সময়কালের নানা সামগ্রী পেয়েছেন। এগুলি স্থান পেয়েছে টিয়েলের স্থানীয় মিউজিয়াম এবং ডাচ ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ অ্যান্টিকুইটিসে।