সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির মন কি আর ঘরে টেকে! সপ্তাহান্তের ছুটি পেলেই যেন পায়ের তলায় সর্ষে। কাছেপিঠে কোথাও বেড়িয়ে আসা যায় না? এই প্রশ্ন যদি বারবার আপনার মনে আসে। তাহলে একবার হুগলির দ্বারহাট্টায় যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন। গ্রামের নিরিবিলি পরিবেশে টেরাকোটার মন্দির। আর ইতিহাসের ছোঁয়া। এতেই সমৃদ্ধ হরিপালের দ্বারহাট্টা (Dwarhatta)।
দ্বারহাট্টার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ রাজ-রাজেশ্বর মন্দির। গোটা মন্দিরে রয়েছে টেরাকোটার কাজ। শোনা যায়, ১৭২৮ খ্রীষ্টাব্দে এই মন্দির তৈরি হয়। প্রবেশদ্বার পূর্বমুখী তিন খিলানযুক্ত। মন্দিরের সামনে নাকি পোড়ামাটির ফলকে রাম-রাবণের যুদ্ধ, কৃষ্ণের নৌকাবিলা, দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতীর প্রতিকৃতি দেখা যায়। পর্তুগিজ সৈন্যদেরও ছবি আছে।
[আরও পড়ুন: পড়াশোনার জন্য রাস্তায় খাবার বিক্রি তরুণের, ‘ভাইটি’র পাশে দাঁড়িয়ে বিশেষ আর্জি স্বস্তিকার]
শোনা যায়, পান্নালাল সিংহ রায়ের তৈরি এই মন্দির গুলো প্রায় তিনশো বছরের পুরনো। কয়েকটি আবার ভগ্নপ্রায়। কয়েকটি সংস্কারও করা হয়েছে। টেরাকোটার ঐতিহ্য বজায় রেখেই এই রক্ষণাবেক্ষণ হয়েছে। মন্দির ছাড়াও গ্রামের পরিবেশ, খেত, চাষাবাদ আপনাকে মুগ্ধ করবে। চাইলে আশেপাশের বাজারও দেখে আসতে পারেন। যেতে পারেন দ্বারিকা চণ্ডী মন্দিরে।
যাবেন কীভাবে?
ট্রেনে গেলে হাওড়া-তারকেশ্বর লাইনের ট্রেন ধরে হরিপাল স্টেশনে নামতে হবে। সেখান গজার মোড়। তার পর রাজবল হাট যাওয়ার রাস্তায় রামহাটিতলা স্টপেজ থেকে ডানদিকে গেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে এই গ্রামে। এছাড়া ডানকুনি-চাপাডাঙা রুটেও এই জায়গায় যাওয়া যায়। কাছেপিঠে থাকার জন্য হোটেল, রিসর্টও পেয়ে যাবেন।