রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election)আগে প্রচার ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে সিপিএমের যুব সংগঠন। রাজ্যব্যাপী DYFI-এর ‘ইনসাফ যাত্রা’র সমাপ্তি হবে আগামী ৭ জানুয়ারি, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। কিন্তু সেখানেও যুবদের ভরসা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)! সূত্রের খবর, ব্রিগেড সমাবেশে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর বার্তা পেতে মরিয়া ডিওয়াইএফআই। অসুস্থ, প্রায় শয্যাশায়ী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তরফে লিখিত কোনও বার্তা পেলে তা ওইদিনের সভায় পড়ে শোনানো হবে, এমনই পরিকল্পনা বাম যুব সংগঠনের। আর সেই লক্ষ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে সিপিএমের (CPM) ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মঞ্চে ওঠেননি। সভামঞ্চের একদিকে গাড়িতেই বসেছিলেন বুদ্ধদেববাবু। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মীরাদেবী। সেবার তিনি অল্প সময়ে থেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। শরীর বিশেষ ভালো ছিল না। আর ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেস জোটের মহাসমাবেশে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর একটি অডিও বার্তা (Audio Messege) প্রচার করেছিল সিপিএম।
[আরও পড়ুন: ‘অ্যানিম্যাল’-এ খুলল কপাল, এবার ববি দেওলের ‘আব্রার’কে নিয়ে নতুন ছবি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার!]
কিন্তু তার পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থার অনেক অবনতি হয়েছে। চলতি বছরই তিনি দীর্ঘ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বাড়ি ফেরার পর তাঁর ঘরে হাসপাতালের মতোই ব্যবস্থা করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ফলে তাঁর পক্ষে এই সময়ে অডিও বার্তা দেওয়াও কঠিন। তাই এবার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের পরিকল্পনা, বুদ্ধদেববাবুর তরফে লিখিত বার্তা পাওয়ার। তিনি সংক্ষেপে কোনও বার্তা পাঠালে তা পড়ে শোনানো হবে ৭ তারিখের ব্রিগেড সমাবেশে। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে বাংলার তরফে তৈরি ডিওয়াইএফআই-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাই তাঁর বার্তা দিয়েই ব্রিগেডের সভা চাঙ্গা করার পরিকল্পনা সংগঠনের। কিন্তু তা পাওয়াও অনিশ্চিত।