সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) পর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেছেন জো বিডেন (Joe Biden)। তারপরই মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান কথা বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। আর এবার টেলিফোনে কথোপকথন হল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (EAM S Jaishankar) এবং মার্কিন বিদেশসচিব (US Secretary of State) অ্যান্টনি ব্লিনকেনেরও।
দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন? পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তৈরি হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জকে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে? এই নিয়েই দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। এটিই দু’জনের প্রথম কথোপকথন। এরপরই এই প্রসঙ্গে অ্যান্থনি ব্লিনকেন বলেন, “ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে আমার ভাল বন্ধু ড। এস জয়শংকরের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে পেরে খুবই আপ্লুত। দু’দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করা হবে? সেই নিয়েও কথা হয়। “
এদিকে, বৃহস্পতিবারই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোন করেছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। তিনিও প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের হয়ে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: প্যালেস্টাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী বিডেন, বাধা হতে পারে মার্কিন আইন]
উল্লেখ্য, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বলতে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, ফিজি, লাওস, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, মালয়েশিয়াম, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা-সহ ২৪টি দেশ বোঝায়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত সফরে এসে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির প্রধান স্তম্ভ ভারত বলে উল্লেখ করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনকে নজরে রেখে এই অঞ্চলে আমেরিকাও তৎপর। জাপান ও রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে একটি অক্ষ গড়তে তৎপর হয়েছে নয়াদিল্লিও। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ওই অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রুখে দিয়ে বাণিজ্যিক ও সামরিক নিরাপত্তা বজায় রাখা। ট্রাম্পের অন্যান্য সিদ্ধান্তে না বললেও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে অবশ্য পূর্বসূরীর পথেই হাঁটবেন বিডেন, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট।