অর্ণব আইচ: ময়দানে প্রাতঃভ্রমণকারীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে ছিনতাইয়ের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত। মহম্মদ ইমরান ওরফে তোতলা এবং সমীর হোসেন ওরফে সাব্বু নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হল। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তারপরই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে, এই ঘটনায় জখম প্রাতঃভ্রমণকারী এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঠিক কী হয়েছিল? অন্যান্য দিনের মতো কাকভোরে ওই ব্যক্তি প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাইকে চড়ে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক ময়দান (Maidan) থানা এলাকায় পৌঁছয়। ওই প্রাতঃভ্রমণকারীর কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তবে তাতে বাধা দেন প্রাতঃভ্রমণকারী। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্রের কোপ দিতে থাকে তারা। তাতেই ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। সুযোগ বুঝে তাঁর কাছে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র লুটপাট করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বেশ খানিকক্ষণ পর রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই প্রাতঃভ্রমণকারীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির আঘাত বেশ গুরুতর।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের ৫টি বিধানসভার উপনির্বাচন দ্রুত করানোর দাবি, নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে TMC]
এদিকে, ময়দান থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) সংগ্রহ করে পুলিশ। শুরু হয় খোঁজখবর। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হল মহম্মদ ইমরান ওরফে তোতলা এবং সমীর হোসেন ওরফে সাব্বু। তোতলা এন্টালি এবং সাব্বু বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার বাসিন্দা। নিজেদের বাড়ির আশপাশ থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার সকালে এই ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত অন্যান্য প্রাতঃভ্রমণকারীরা। নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।