সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই কলকাতার বুকে আরও এক ডার্বি। আইএসএলের মেগা ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ যেমন চড়েছে, তেমনই মাথাচাড়া দিয়েছে টিকিট বিতর্ক। তবে মাঠের বাইরের কোনও বিতর্কে কান দিতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের দুই কোচ। উভয়েরই পাখির চোখ কেবল তিন পয়েন্টের দিকে। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন জানিয়ে দিলেন, সর্বশক্তি নিয়েই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ঝাঁপাবে দল। অন্যদিকে ডার্বিতে তিন বিদেশিকে পাবে না মোহনবাগান (Mohun Bagan)। তবে তাতে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়তে না কোচ জুয়ান ফেরান্দোর।
কার্ড সমস্যায় ডার্বি থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। তাই রক্ষণে প্রীতম কোটালের সঙ্গে খেলতে পারেন দামিয়ানোভিচ। তবে দু’জনে খুব বেশি ম্যাচ না খেলায় তাঁদের মধ্যে কেমন বোঝাপড়া থাকে, সেটা বড় প্রশ্ন। কারণ ক্লেটনের মতো দুরন্ত ফর্মে থাকা স্ট্রাইকারকে সামলাতে হবে তাঁদের। হ্যামিলের পাশাপাশি শনিবাসরীয় বড় ম্যাচে খেলতে পারবেন না হুগো বুমোস এবং কার্ল ম্যাকহিউ। চোট সমস্যার জন্য বাদ পড়েছেন তাঁরা। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সবুজ-মেরুনের মাঝমাঠের স্তম্ভ বুমোস না থাকাটা ইস্টবেঙ্গলের জন্য স্বস্তির বইকী। যদিও স্টিফেন তা মানতে নারাজ। তিনি সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, বিপক্ষে কে আছে, কে নেই, তা নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই। তিনি শুধু নিজের দল নিয়েই ভাবছেন।
[আরও পড়ুন: ‘আপনার মতো ভগবান পাশে ছিল বলে…’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ‘অসহায়’ মা-মেয়ে]
স্টিফেনের কথায়, “ডার্বিতে (ISL Derby) কোনও দলের কোনও অ্যাডভান্টেজ থাকে না। যার ফর্ম ভাল থাকবে, তারাই ভাল ফল করবে। ওদের দল নিয়ে নয়, আমরা নিজেদের খেলোয়াড়দের কথা ভাবছি। সর্বশক্তি নিয়েই ঝাঁপাব।”
প্লে অফের আগে বুমোসকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান না ফেরান্দো। যদিও শোনা যাচ্ছে, অনুশীলনে না থাকলেও এমনিতে ফিট হয়ে গিয়েছেন বুমোস। তাই শেষ মুহূর্তে তাঁকে দলে রেখে চমক দিতে পারেন কোচ।
গত পাঁচটি ডার্বির পাঁচটিতেই পরাস্ত ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এবারের আইএসএলে প্রথম ছয়ে পৌঁছনোর আশাও শেষ। অন্যদিকে তিন নম্বরে থাকা মোহনবাগান আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে। এক্ষেত্রে কি লাল-হলুদ কিছুটা হলেও চাপে থাকবে? স্টিফেনের সাফ কথা, “চারটে ডার্বি তো ফাঁকা গ্যালারিতে হয়েছিল। তাই সেগুলিকে সে অর্থে ডার্বি বলা যায় না। আর অতীতের ফলাফল নিয়ে ভাবছি না। বরং দল গত ম্যাচে ভাল খেলেছে। সেটাই ফুটবলারদের ভাল খেলতে অক্সিজেন জোগাবে।”