ইস্টবেঙ্গল: ৪ (বিদ্যাসাগর, তুহিন দাস(আত্মঘাতী),কোলাডো ২ )
কালীঘাট মিলন সংঘ: ২ (তুহিন শিকদার, রাহুল পাসওয়ান)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগের ম্যাচে হারতে হয়েছিল পিয়ারলেসের কাছে। ঘরের মাঠে সেই হারের জেরে রীতিমতো বিতর্কও হয়। খেলা শেষে রেফারির উপর চড়াও হন কয়েকজন ফুটবলার ও কোচিং স্টাফের দুই সদস্য। শাস্তিও পেতে হয়েছে তাদের। সেসব বিতর্ক পিছনে ফেলে কলকাতা লিগে জয়ের সরণিতে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার কর্দমাক্ত ঘরের মাঠে কালীঘাট মিলন সংঘকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দিলেন পিন্টু মাহাতারা।
[আরও পড়ুন: পদ্মবিভূষণের জন্য মেরি কমের নাম প্রস্তাব ক্রীড়া মন্ত্রকের, পদ্মভূষণের লড়াইয়ে সিন্ধু]
শেষ ম্যাচে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে ০-১ গোলে হেরে লিগ জয়ের রাস্তা আরও দুর্গম করে তোলে ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচের আগে ছয় ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ছিল ১০। কলকাতা লিগ জিততে হলে শেষ পাঁচ ম্যাচের প্রত্যেকটাই জিততে হবে। সঙ্গে আবার আশায় থাকতে হবে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বীরাও পয়েন্ট নষ্ট করে, এই পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে এদিন নিজেদের কাজটা অন্তত সেরে রাখল লাল-হলুদ শিবির। পাঁচ ম্যাচের প্রথম ম্যাচ তাঁরা জিতলেন ২ গোলের ব্যবধানে।
[আরও পড়ুন: ছদ্মবেশে ফুটবল মাঠে ঢুকে গ্রেপ্তার ইরানের তরুণী, শাস্তির ভয়ে আত্মহত্যা]
যদিও, এদিনও ম্যাচের শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। কর্দমাক্ত মাঠে ম্যাচের শুরুর দিকে বেশ বেগ পেতে হয় লাল-হলুদ ফুটবলারদের। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে কালীঘাট মিলন সংঘ এক গোলে এগিয়ে যায়। কালীঘাটের সেই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। মিনিট চারেক পরই সমতা ফেরান ইস্টবেঙ্গলের বিদ্যাসাগর সিং। ম্যাচের বয়স যখন ঘণ্টাখানেক, তখন জোড়া গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমে ৫৯ মিনিটে পিন্টুর শট থেকে আত্মঘাতী গোল করে ফেলেন কালীঘাটের তুহিন দাস। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান কোলাডো। খেলার তখন মিনিট দশেক বাকি। কালীঘাটের তরফে গোল করে ব্যবধান নাগালের মধ্যে আনেন রাহুল পাসোয়ান। নাটক অবশ্য আরও বাকি ছিল। মিনিটখানের মধ্যেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে পেলেন কোলাডো। খেলা শেষ হয় ৪-২ গোলে।
The post কাদা মাঠেই বাজিমাত, কালীঘাট মিলন সংঘকে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.