ইস্টবেঙ্গল: ৩ (বাবা মুসাহ- আত্মঘাতী, দিয়ামান্তোকোস ২)
নেজমেহ: ২ (কলিন্স ওপারে, হুসেইন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মাটিতে টানা হার। সেখান থেকে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল। অস্কার ব্রুজোর ছোঁয়ায় যেন আচমকা বদলে গেল ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য। ভুটানের থিম্পুতে নেজমেহকে হারিয়ে এএফসি-র নক আউটে চলে গেল লাল-হলুদ বাহিনী। জোড়া গোল করলেন দিয়ামান্তোকোস। ৩-২ গোলে জিতল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আর দীপাবলির আলো ছড়িয়ে পড়ল সমর্থকদের মধ্যে।
পরের রাউন্ডে যেতে হলে ইস্টবেঙ্গলের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল জয় পাওয়া। আগের ম্যাচে বসুন্ধরাকে উড়িয়ে ছন্দে ছিলেন তালালরা। ড্র করলে তাকিয়ে থাকতে হত অন্য গ্রুপের ম্যাচগুলোর দিকে। সেই দিকেই গেল না অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। তবে সহজ ম্যাচ জিতল কঠিন করে। এদিন শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেটা অবশ্য নেজমেহর বাবা মুসাহর আত্মঘাতী গোলের সৌজন্যে। ১৪ মিনিটে নাওরেমের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন দিয়ামান্তোকোস।
দুগোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ফের সামনে এল লাল-হলুদ ডিফেন্সের ফাঁকফোকর। রক্ষণভাগে আনোয়ার, হেক্টর ও হিজাজি তিনজনই ছিলেন। কিন্তু ১৮ মিনিটে প্রথম গোল হজম করল ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলের ধারেকাছে পৌঁছতে পারলেন না হেক্টর। সেই সুযোগে গোল করে যান কলিন্স ওপারে। তার পরও অবশ্য ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল লাল-হলুদের কাছে। কিন্তু সহজ সুযোগ মিস করেন মাদিহ তালাল। ৪২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিকভাবেই আইএসএলের আতঙ্ক ফের তাড়া করতে শুরু করেছিল লাল-হলুদের জন্য।
শেষ পর্যন্ত পরিত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন গ্রিক স্ট্রাইকারই। বাঁদিক থেকে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন তালাল। কাট করে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেন নেজমেহর ডিফেন্ডার। ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইস্টবেঙ্গলে এগিয়ে দেন দিয়ামান্তোকোস। শেষের দিকে অবশ্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল নেজমেহ। ইস্তবেঙ্গলের গোলমুখে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সময় নষ্ট করতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন গোলকিপার প্রভসুখন গিল। এমনকী ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠও ছাড়তে পারতে হত তাঁকে। কিছুটা বরাতজোরেই রক্ষা পেলেন গিল। রক্ষা পেল ইস্টবেঙ্গলও। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জিতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল লাল-হলুদ বাহিনী।