সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উই আর আ ক্লাব উইথ নেভার সে ডাই অ্যাটিটিউড। উই হ্যাভ টু শো দ্যাট অন দ্য পিচ গেম আফটার গেম। ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) কথাগুলো বললেন ডার্বির আগের সাংবাদিক বৈঠকে।
শনিবার ডুরান্ড ডার্বি (Derby)। বড় ম্যাচের পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ নিজেদের দুর্বলতার কথা স্বীকার করে নিলেও তাঁর দল যে লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দেবে মাঠে নেমে, সেই অঙ্গীকার করে গেলেন শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে। কুয়াদ্রাতের কথার অর্থ বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ”আমাদের ক্লাব কখনও হাল ছাড়ে না। মরার আগে মরবো না। সেই মানসিকতার পরিচয় আমরা দেব একের পর এক ম্যাচে।”
[আরও পড়ুন: নেতৃত্ব জট কাটল বাংলাদেশ ক্রিকেটে, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে ক্যাপ্টেন শাকিব]
ধারে ও ভারে অনেক এগিয়ে মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের দলের গভীরতাও অনেক বেশি। শেষ আটটি ডার্বি যুদ্ধ জিতেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তারকা সমৃদ্ধ দল বলতে যা বোঝায় মোহনবাগান ঠিক তাই।
ইস্টবেঙ্গল আগের বছরের থেকে শক্তিশালী একথা বলাই বাহুল্য। তবে তাঁর দলকে তৈরি করার জন্য খুব বেশি সময় পাননি কুয়াদ্রাত। স্পেনীয় কোচের দল নতুন। মাত্র দু’ জন প্লেয়ার রয়েছেন যাঁরা অতীতে ডার্বি খেলেছেন। অন্যদিকে ডুরান্ড কাপে দুদ্দাড়িয়ে শুরু করেছে মোহনবাগান। প্রথম দুটো ম্যাচ জিতেছে প্রাধান্য নিয়ে। সেখানে ইস্টবেঙ্গল কিন্তু বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে ম্যাচটা এগিয়ে থেকেও ড্র করেছে। মোহনবাগানের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কুয়াদ্রাত। তিনি বলছেন, ”দল হিসেবে মোহনবাগান দারুণ শক্তিশালী। ওদের সামনে এএফসি কাপের খেলা রয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে নিজেদের তৈরি করছে। এই ম্যাচের আগে পরিসংখ্যানের দিক থেকেও এগিয়ে মোহনবাগান। আটটা ডার্বি ওরা লাগাতার জিতেছে। গত বার আইএসএল চ্যাম্পিয়নও হয়েছে।ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন। তবে আমরাও কঠিন পরিশ্রম করছি।”
পারদ চড়তে শুরু করেছে ডুরান্ড-ডার্বির। টিকিটের চাহিদা রয়েছে। কুয়াদ্রাত বলছেন, ”ডার্বির ইতিহাসকে সম্মান জানাতেই হবে। এটা শহরের বিশাল এক ঐতিহ্য। ভাল প্রদর্শন করার চেষ্টা করবো আমরা। তার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি। ডার্বির আগে সব মিলিয়ে দুর্দান্ত আবহাওয়া, দুর্দান্ত পরিবেশ।”
মোহনবাগানের দুরন্ত দল, অপেক্ষাকৃত নতুন দল নিয়ে নামতে হচ্ছে স্পেনীয় কোচ কুয়াদ্রাতকে। চাপ অনুভব করছেন না? কুয়াদ্রাত অবশ্য বলছেন, ”ডার্বি সবসময়েই চাপের। যে কোনও ম্যাচেই চাপ থাকে। আমি আমার কোচিং কেরিয়ারে এরকম চাপ অনেক নিয়েছি।”
মাঠে লড়বেন কুয়াদ্রাতের সেনানীরা। কিন্তু মাঠের বাইরে তো ম্যাচের জিয়নকাঠি কুয়াদ্রাতের হাতেই। নতুন কোচের দিকে তাকিয়ে ইস্টবেঙ্গলবিশ্ব।
[আরও পড়ুন: কোমরে পিস্তল, নেটে মুম্বই পুলিশ অফিসারের আগুনে পেস বোলিং! ভাইরাল হল ভিডিও]