সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা লিগের ডার্বির বাকি এখনও বেশ কয়েকদিন। কিন্তু শনিবার ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান ম্যাচ ড্র হওয়ার পরই মোটামুটি ধরে নেওয়া হচ্ছে, মহাডার্বি যার দখলে, লিগও তার ঘরেই ঢুকবে। কিন্তু তার আগেই বিতর্কে লাল হলুদের নয়া কোচ খালিদ জামিল।
[হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে কোরিয়া ওপেনের ফাইনালে সিন্ধু]
সাধারণত অল্প কথা বলতেই ভালবাসেন। সারাক্ষণ চিন্তা করেন দল নিয়েই। খুব একটা বিতর্কে জড়াতে চান না। অন্যান্য কোচেদের তুলনায় কিছুটা শান্ত স্বভাবের। কিন্তু এদিন মহামেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ঠান্ডা মেজাজের খালিদ জামিলও মাথা গরম করে ফেলেন। ম্যাচ চলাকালীন কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়লেন মহামেডান কর্তাদের সঙ্গে। এমনকী তিনি নাকি প্রশ্ন করেন, ‘মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মহামেডান এত ভাল ফুটবল খেলল না কেন?’ খালিদের এই ধরনের মন্তব্য শুনে হতবাক হয়ে যান সাদা-কালো কর্তারাও।
যদিও ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি লাল-হলুদ কোচ। বলেন, ‘আমি এখানে ম্যাচ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে এসেছি। ম্যাচের পর কাকে কী বলেছি, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে নয়।’ এরপরই ম্যাচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ম্যাচের ফলাফল নিয়ে আমি হতাশ নই। আমরা বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছি। তবে সবকিছুই খেলার অঙ্গ।’ এদিন গোল করে দলের মানরক্ষা করেছেন উইলিস প্লাজা। ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর এই স্ট্রাইকার প্রসঙ্গে খালিদ বলেন, ‘প্লাজা নিঃসন্দেহে ভাল খেলোয়াড়। তবে গোটা দলের পারফরম্যান্স আমাকে চিন্তায় রাখছে। আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘সুযোগ নষ্ট হওয়াটা ফুটবল খেলাটার একটি অঙ্গ। আজ আমাদের দিন ছিল না। অন্যান্য দিন হলে এই সুযোগগুলি থেকেও গোল হত। দু’পয়েন্ট হারিয়েছি বলে কোনও অভিযোগ করছি না। তাছাড়া মহামেডান সত্যিই আমাদের তুলনায় ভাল থেলেছে।’
[বিরাট নন, চেন্নাইয়ে প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের ‘নেতা’ ধোনিই!]
মহামেডান গোলকিপার শঙ্কর রায়ের বারবার মাঠের মধ্যে শুয়ে পড়ে সময় নষ্ট করা নিয়েও মুখ খুলতে চাননি খালিদ। উলটোদিকে, ড্র করলেও ম্যাচের ফলাফলে খুশি নন মহামেডান কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, লড়াই করলেও দু’পয়েন্ট মাঠেই ফেলে আসার মতো খেলেনি মহামেডান খেলোয়াড়রা। তাছাড়া একটি গোললাইন সেভ হয়েছে এবং একটি পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাঁদের। এর পাশাপাশি আইএফএ-র সূচি নিয়েও খুশি নন বিশ্বজিৎ।