সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একবার বলছেন, অতীত ভুলে সামনের দিকে তাকাতে হবে। আবার বর্তমান পারফরম্যান্স নিয়ে জবাব দিতে গিয়ে সেই অতীতকেই ঢাল করছেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন (Stephen Constantine)। আইএসএলে পাঁচ ম্যাচে চার হারের জেরে যে তিনি চাপে, লাল-হলুদের সাহেব কোচের কথায় তা বিলক্ষণ স্পষ্ট।
কখনও ডিফেন্স, আবার কখনও আক্রমণের ছোট ছোট ভুলে পয়েন্ট হাতছাড়া হওয়া-ভুগেই চলেছে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্টিফেনের জবাব, “ভুল সকলেই করে। তবে ফুটবলাররা সেই ভুল শুধরে নিতে অনুশীলনে পরিশ্রম করছে। আসলে অতীত বদল করা যায় না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ বদল করতে হবে।” আবার লিগে মাত্র ১ ম্যাচ জয় নিয়ে প্রশ্ন শুনে সেই অতীতকেই ঢাল বানালেন স্টিফেন। তাঁর বক্তব্য, “গতবার লিগে আমরা কটা ম্যাচ জিতেছি? একটা! ইতিমধ্যে আমরা সেই পরিসংখ্যানে পৌঁছে গিয়েছি। নতুন বছরে দলটা নতুন ভাবে তৈরি হচ্ছে। আমরা হয়তো পরের ম্যাচটা জিতব। নয়তো তার পরের ম্যাচটা। হয়তো এই দলই টানা ৬ ম্যাচ জিতবে। এই লিগে সব হতে পারে।”
[আরও পড়ুন: হার্দিকের লড়াকু ইনিংস, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সম্মানজনক স্কোর ভারতের]
মরশুমের শুরুতে সমর্থকদের ধৈর্য ধরার বার্তা দিতে গিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ক্লাবের সাফল্য না থাকার কথা শুনিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ। এদিনও ফের সেই প্রসঙ্গই তুললেন স্টিফেন, “ইস্টবেঙ্গল শেষ কবে লিগ জিতেছে? ২০০৪? সেটা ১৮-২০ বছর আগে! সমর্থকদের পরিস্থিতি বুঝতে হবে। সাফল্য রাতারাতি আসে না।” হারলেও দল ভাল খেলছে বলেই দাবি স্টিফেনের। তাঁর কথায়, “বিপক্ষ আমাদের ৪-৫ গোলে হারাচ্ছে এমন নয়। আমরা সুযোগ তৈরি করছি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারছি না। ফুটবলারদের বুঝতে হবে, ম্যাচে ২-৩টে সুযোগই পাওয়া যাবে আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।”
নিজের পদত্যাগের জল্পনা উড়িয়ে স্টিফেন বলেন, “আমরা খারাপ খেলছি এমন নয়। লড়াই না করতে পারলে বলতাম, ‘আমি ব্যর্থ। আমাকে সরিয়ে অন্য কোচ আনা হোক।’ চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচটা জিততে পারতাম। শুক্রবার বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধেও জেতার জন্য নামব।” বুধবার বিকেলে লাল-হলুদ অনুশীলনে অনুপস্থিত ছিলেন অনিকেত যাদব। ফিজিওর কাছে রিহ্যাব সারেন অ্যালেক্স লিমা। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে তাঁদের খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার সকালে অনুশীলন করে বিকেলে বেঙ্গালুরু যাবে দল। অন্যদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়া মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর প্লেটলেট কাউন্ট মঙ্গলবারের তুলনায় সামান্য বেড়ে ৬০ হাজারের কাছাকাছি হয়েছে।