ইস্টবেঙ্গল: ১ (জবি)
রিয়েল কাশ্মীর: ১ (চুল্লোভা-আত্মঘাতী)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য? কী বলা যায়? একটা আত্মঘাতী গোলের সৌজন্যে তিন পয়েন্টই পকেটে পুরতে পারত কাশ্মীর। আর উলটো দিকে আত্মঘাতী গোল না হলে জবি জাস্টিনের একমাত্র গোলে আরও একটা জয় পেত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোনওটাই হল না।
টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর অবশেষে কাশ্মীরিদের কাছে আটকে গেল ইস্টবেঙ্গলের বিজয়রথ। গত ম্যাচে চেন্নাইকে হারিয়ে কাশ্মীর ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছিল, তারা কী মারাত্মক ফর্মে রয়েছে। তাই ঘরের মাঠেও বেশ সতর্ক ছিলেন কোচ আলেজান্দ্রো। টানা চার নম্বর ম্যাচটিতে জয় একপ্রকার নিশ্চিতও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মারে লাল-হলুদ। চুল্লোভার আত্মঘাতী গোলেই কাশ্মীরের সঙ্গে ড্র করে মাঠ ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
[বিরাটকে গালিগালাজ, অজি সমর্থকদের সতর্ক করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া]
রিয়েল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো জেনে গিয়েছিলেন, মোহনবাগান ম্যাচের ফল। নেরোকার কাছে চিরশত্রুরা হারায় স্বাভাবিকভাবেই চনমনে ছিল লাল-হলুদ শিবির। খেলার শুরু থেকে তাই ফুটবলারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজও ছিল বেশ পজিটিভ। তবে ইস্টবেঙ্গলের ডেরাতেও কাশ্মীরি ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল তুখোড়। কোনও সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি ছিলেন না তাঁরাও। বল পজেশনে কোনও দলই কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ পেলেও উবেদের সুবাদেই রক্ষা পায় লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজের দলকে বিপাকে ফেলেন চুল্লোভা। তাঁর আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় কাশ্মীর। এরপর দলকে সমতায় ফিরিয়ে কোনওক্রমে মান বাঁচালেন জবি জাস্টিন। এই স্ট্রাইকারকে নিয়েই বিশেষ সতর্ক ছিলেন বিপক্ষের কোচ। কিন্তু কাশ্মীরি মার্কিং টপকে গোল করতে সফল তিনি।
শুক্রবার ঘরের মাঠ থেকে ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতে এল এক পয়েন্ট। অর্থাত ন’ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে দশ ম্যাচ পর কাশ্মীরের পয়েন্ট ১৮। তবে গত ম্যাচে চেন্নাইকে হারিয়ে এবং এদিন ইস্টবেঙ্গলকে যেনতেনপ্রকারে আটকে আই লিগ জমিয়ে দিল নতুন দলটি।