স্টাফ রিপোর্টার: সাতে সাত লিগ পাওয়ার আনন্দে মেতে উঠল ইস্টবেঙ্গল৷ ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার ও দলের অধিনায়ক রবার্ট পতাকা উত্তোলন করেন৷ সঙ্গে ছিলেন দলের বেশ কিছু ফুটবলার৷ মেহতাব, আদিলেজা, লুই ব্যারেটো, ডিকা, বিকাশ জাইরু-সহ আরও অনেকে৷ যদিও না আসার তালিকাও ছিল বেশ দীর্ঘ৷ বিশেষ করে ডং, অর্ণব মণ্ডলরা আসেননি৷
ঠিক ছিল সাতবার লিগ জয়ের পতাকা উত্তোলন হবে সকালেই৷ সেইভাবে আয়োজনও করা হয়েছিল৷ কিন্তু সাতসকালেই বৃষ্টি নামে ঝমঝমিয়ে৷ সেই বৃষ্টি যখন থামল তখন ঘড়ির কাঁটা সাড়ে এগারোটা পেরিয়ে গিয়েছে৷ স্বভাবতই যারা এসেছিলেন তাঁদের নিয়েই পতাকা উত্তোলন পর্ব সেরে ফেলা হয়৷ ক্লাবের পদাধিকারীরা বলতে গেলে সকলেই ছিলেন৷ সচিব তো ছিলেন-ই৷ ছিলেন সহ-সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, কার্যনির্বাহি কমিটির অন্যতম সদস্য দেবব্রত সরকার-সহ আরও অনেকে৷ ছিলেন অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রত্যেকেই সাতবার লিগ জয়ের রেকর্ডকে সামনে টেনে আনেন৷
ছিলেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় ও সুরজিত্ সেনগুপ্ত৷ নস্ট্যালজিয়ায় আক্রান্ত ভাস্কর তো বলেই দিলেন, “আমাদের সময়ে লিগ জয়টা অনেক কঠিন ছিল৷ প্রথমত খেলা হত মাত্র সত্তর মিনিট৷ সেই সত্তর মিনিটের মধ্যে ম্যাচ জেতা যে কত কঠিন যারা খেলত তারাই জানে৷ তার উপর থাকত প্রচণ্ড চাপ৷ একটা ম্যাচ ড্র করলেই সকলে যেন তেড়ে আসত৷ হারলে তো কথাই নেই৷ এখন সেই জায়গায় লিগ পেতে গেলে দুটো ম্যাচ ভাল খেলতে হয়৷ এক, মোহনবাগান৷ দুই, মহামেডান৷ তাই এখনকার লিগ পাওয়াটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে৷”
সাতবার লিগ জয়৷ কলকাতার ফুটবল ইতিহাসে এটা একটা অনন্য রেকর্ড৷ তা সত্ত্বেও সমর্থকদের সেই উচ্ছ্বাস বা আবেগ চোখে পড়েনি৷ মনে হচ্ছিল, আর পাঁচটা ম্যাচ জেতার পর যেমন হয় ঠিক তেমনই যেন হচ্ছে৷ কেন এমন হল? বৃষ্টি যদি একটা ফ্যাক্টর হয় তাহলে অপর কারণ ডার্বি না হওয়া৷ তাছাড়া দল এবার তেমন নজরকাড়া পারফরম্যান্সও দেখাতে পারেনি৷ সব মিলিয়ে রেকর্ড গড়েও যেন লাল-হলুদের ঔজ্জ্বল্য অনেকটা ফিকে হয়ে থাকল৷ ক্লাব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আই লিগ শুরুর আগে ক্লাবের পক্ষ থেকে লিগ জয়ীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে৷ সেই অনুষ্ঠানে শুধু এবারের দলের সদস্যরা নয়, বাকি ছ’বারের মধ্যে যারা ছিলেন তাঁদেরকেও আমন্ত্রণ জানাবে ইস্টবেঙ্গল৷
The post সাতবার লিগ জয়ের আনন্দে মাতল ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.