সোহম দে ও সোম রায়: ডার্বির আগে মোহনবাগান কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি কোচ আলেজান্দ্রো। শনিবার সকালে মোহনবাগান কোচ বলেছিলেন, তিনি ইস্টবেঙ্গল কোচকে শ্রদ্ধা করেন। তার কিছুক্ষণ পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে এসে আলেজান্দ্রো বললেন, “আমি মোহনবাগান কোচের মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।” তবে শংকরলালের মন্তব্যে যতই অনুপ্রাণিত হোন, ইস্টবেঙ্গল কোচ কিন্তু ডার্বির ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে মোহনবাগানের আক্রমণভাগকে যথেষ্ট সমীহ করছেন। তিনি বললেন, “ওদের আক্রমণভাগটা বেশ শক্তিশালী। নজর না দিলে বিপদ।”
[ডার্বির আগে বড় ধাক্কা মোহনবাগানের, চোটের জন্য ছিটকে গেলেন সোনি]
আলেজান্দ্রোর জমানায় যা প্রায় প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই নিয়ম ডার্বির আগেও বহাল থাকল। প্রথম ১৫ মিনিট সাংবাদিকদের প্র্যাকটিস দেখতে দেওয়া হল। তারপরই ক্লোজড ডোর। মাঠের বাইরে সেই কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হল। তবে যা জানা গেল তাতে লাল-হলুদ ফুটবলাররা স্প্যানিশ স্টাইল অর্থাৎ পাসিং ফুটবলের উপরই জোর দিলেন। আর ম্যানিকুইনের সাহায্যে তাঁরা প্র্যাকটিস করলেন।
সিঙ্গল স্ট্রাইকার জবি জাস্টিনকে রেখেই প্রথম একাদশ সাজাচ্ছেন স্প্যানিশ কোচ। নবাগত বিদেশি কোলাডোকে পিছন থেকে খেলাবেন। কোলাডো আগের দিনই আইএফএ অফিসে সই করার পর জানিয়েছিলেন, কোচ যেখানে খেলাবেন সেখানেই খেলতে রাজি। চোট পাওয়া এনরিকের জায়গায় তিনি খেলবেন। এনরিকে মূলত সেন্টার ফরোয়ার্ডে খেলতেন। সেখানে কোলাডোকে নিচু থেকে খেলিয়ে জবিকে ফরোয়ার্ডে খেলাতে পারেন আলেজান্দ্রো।
ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছিলেন, “যে নেই তার সম্পর্কে ভেবে লাভ নেই। তবে এনরিকের না থাকাটা আমাদের বড় ক্ষতি। কিন্তু যারা আছে তারা অবশ্যই নিজেদের সেরাটা দেবে। এই বিশ্বাস আমার আছে।” সাংবাদিকদের ১৫ মিনিটের বেশি প্র্যাকটিস দেখতে না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা শুধু আমি নই, পৃথিবীর সমস্ত কোচই এই নিয়ম মেনে চলেন।” মোহনবাগানের আক্রমণভাগকে সামাল দিতে জনি অ্যাকোস্টার পাশে সেলাম রঞ্জনকে খেলানো হবে কি না, সে ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু জানালেন না আলেজান্দ্রো। তবে প্রথম একাদশ কী হবে বা কে খেলবেন, এই নিয়ে তাঁর যত না চিন্তা, তার থেকেও বেশি চিন্তা ম্যাচের ফলাফল নিয়ে। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, “এই ম্যাচ থেকে আমরা তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চাই। জানি, মোহনবাগান শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা জেতা ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না।”
ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার কাশিম জানিয়ে গেলেন, “আমরা কোচের ফুটবল চিন্তাভাবনার সঙ্গে নিজেদের ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছি। আশা করছি, ডার্বিতে আমাদের পারফরম্যান্স ভালই হবে।” তিনি আরও বলেন, “একটা লম্বা মরশুমে প্রায় প্রতিটা দলেই রোটেশন হয়। সবাইকেই অপেক্ষা করতে হয় সুযোগের জন্য। আমি যদি ডার্বিতে সুযোগ পাই, তাহলে সেরাটা দেব।”
The post ডার্বির আগে মোহনবাগান আক্রমণকে সমীহ আলেজান্দ্রোর appeared first on Sangbad Pratidin.