স্টাফ রিপোর্টার: শতবর্ষ উদযাপনের হ্যাংওভার কাটতে না কাটতেই ফুটবলে মনোনিবেশ করছে ইস্টবেঙ্গল। আর্মি রেডের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আজ ডুরান্ড অভিযান শুরু হচ্ছে লাল-হলুদের।শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে অবশ্য হ্যাংওভার লক্ষ্য করা যায়নি। কোচ আলেজান্দ্রোর শরীরী ভাষায় পরিষ্কার শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের হ্যাংওভার কাটিয়ে তাঁর লক্ষ্য ডুরান্ড জয়।
[আরও পড়ুন: আবির্ভাবেই সফল কিবু, মহামেডানকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ অভিযান শুরু মোহনবাগানের]
প্রথম মরশুমে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের চোখের মণি হয়ে উঠলেও আই লিগ জিততে পারেননি। ফলে এ বার ডুরান্ড জিতেই আই লিগের ড্রেস রিহার্সাল সারতে চান তিনি। স্প্যানিশ কোচ বললেন, ‘‘আমি সবে প্রস্তুতি শুরু করেছি দলের সঙ্গে। দলকে তৈরি করছি। ডুরান্ডে ভাল ফল করতে চাই। যাতে আই লিগের আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পায় ফুটবলাররা।’’
নিজেদের মাঠে আজ ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ আর্মি রেড সম্বন্ধে কোনও ধারণাই নেই কোচের। “আমি প্রতিপক্ষ সম্বন্ধে কিছু জানি না। তাই নিজেদের খেলায় মন দিতে হবে। প্রস্তুতিতে যা যা করছি সেটা সঠিকভাবে কার্যকর করতে হবে। যেমন প্ল্যানিং করেছি সেই ফুটবলটা যেন খেলতে পারি।’’ বললেন আলেজান্দ্রো।
সকালে প্রায় দেড়ঘণ্টার প্র্যাকটিস। গত মরশুমের মতো ম্যাচের আগের দিন ক্লোজড ডোর অনুশীলন কোচের। সূত্র অনুযায়ী, ফুটবলারদের সেই পাসিং ফুটবলের উপর জোর দিতে বলেছেন আলেজান্দ্রো। মন দিতে বলেছেন শুরুটা যেন দারুণ হয়। প্রথম স্পেলে গোল যেন আসে। আলেজান্দ্রোর চিন্তা সামান্য দূর করে অনুশীলনে এদিন যোগ দিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্টি ক্রেসপি।
[আরও পড়ুন: ‘ইস্টবেঙ্গল-ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে ফারাক করা সবচেয়ে লজ্জার’, তথাগতকে পালটা জবাব মমতার]
ডুরান্ড নিয়ে কয়েক দিন আগে সৃষ্টি হয় ডামাডোল। আলেজান্দ্রো ঠিক করেছিলেন ডুরান্ডে তরুণদেরই খেলাবেন। কিন্তু ঐতিহ্যের সামনে হার মানে তাঁর জেদ। যিনি কথা দিয়েছেন নিজের পূর্ণ শক্তি নিয়ে খেলবেন। ‘‘আমি চাই দল প্রতিদিন উন্নতি করুক। আমি যে ফুটবলটা চাই সেটা খেলুক। প্রতিটা ম্যাচ নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে। সঙ্গে ধৈর্য ধরতে হবে। দলে অনেক নতুন মুখ আছে তাদের মানাতে সময় লাগবে। আজ যারা অনুশীলন করেছে সবাই আমার ভাবনায় আছে কালকের জন্য।’’
কোয়েস বনাম ইস্টবেঙ্গলের ঠান্ডা যুদ্ধের মধ্যেও দল ফুরফুরে মেজাজে। হালকা আবহেও টেনশনের চোরাস্রোত অবশ্য তৈরি করল দলের কঠিন সূচি। একই সঙ্গে কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড চলায় ফুটবলারদের কীভাবে ফিট রাখবেন তা নিয়ে চিন্তিত কোচ। যিনি বললেন, ‘‘অবশ্যই কঠিন। কয়েক দিনের মধ্যে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। তবে কোচিং স্টাফের দায়িত্ব ফুটবলারদের কন্ডিশনে রাখা। কোনও পেশাদার দলের জন্য এমন সূচি ঠিক নয়। কিন্তু কী করা যাবে।’’