সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত এবং বাংলা ফুটবল কলঙ্কিত হল। ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) জন্য। কারণ বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ! এবং সেই জন্য চলতি মরশুমে নির্বাসিত হল অনূর্ধ্ব-১৭ ইস্টবেঙ্গল (East Bengal U-17) দল। শুক্রবার, ১ মার্চ সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। মোহনবাগান (Mohun Bagan) ডার্বি ম্যাচে হারের পরেই লাল-হলুদের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেই অভিযোগ প্রমাণ হতেই ব্যান হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। আর তাই ২০২৩-২৪ মরসুমে জাতীয় লিগে খেলতে পারবে না ইস্টবেঙ্গলের তরুণ দল।
ইস্টবেঙ্গল ব্যান হওয়ায় গ্রুপ টপার হিসেবে মোহনবাগান পরের রাউন্ডে যাচ্ছে। কারণ সেই ডার্বির তিন পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে সবুজ-মেরুন বাহিনীকে। এর পাশাপাশি ইউনাইটেড স্পোর্টস সুযোগ পাচ্ছে জাতীয় স্তরে খেলার। মোহনবাগানের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। সেই তদন্তের ভিত্তিতে পয়েন্টও কেটে নেওয়া হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল যুব দলের। তবে এবার লাল-হলুদকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিল এআইএফএফ। ফলে বিরাট লজ্জার মুখে পড়তে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে ছাঁটাই হলেও শ্রেয়সের পাশে দল! কবে ইডেনে নামবে কেকেআর?]
ক্লাবের সঙ্গে লাল-হলুদের ছয় ফুটবলারকে চার বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে এআইএফএফ। সেই বিতর্কিত ডার্বি ম্যাচের পর, আর সেই ফুটবলারকে খেলায়নি ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘদিন তদন্ত চলার পর অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের সেই চার অভিযুক্ত ফুটবলারকে সাসপেন্ড করল ফেডারেশন। শোনা গিয়েছে, সেই চার ফুটবলারের মধ্যে একজন অতীতে মোহনবাগানের জুনিয়র দলে খেলত। অনূর্ধ্ব ১৭ ইয়ুথ লিগে রেজিস্ট্রেশনের সময় আধার কার্ডে তার নাম পরিবর্তন করা হলেও বাবার নাম পরিবর্তন হয়নি। এই অপরাধের জন্য বড় শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকেও।
অনূর্ধ্ব ১৭ যুব লিগের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ০-৪ ব্যবধানে হেরেছিল মোহনবাগান। এর পরই মোহনবাগানের তরফে অভিযোগ আনা হয়, বেশি বয়সের ফুটবলার খেলিয়েছে লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের বেশ কয়েক জন ফুটবলারের বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে লিখিত অভিযোগ জানায় সবুজ-মেরুন বাহিনী। সবদিক খতিয়ে দেখে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ফুটবল হাউস।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মাধ্যমে ফুটবলারের নাম নথিভূক্ত করা বাধ্যতামূলক। একজন প্লেয়ার দুটো নামে রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে সূত্রের খবর। সেই ফুটবলার নাকি মোহনবাগানেও খেলেছিলেন একসময়। বয়স বা নাম ভাঁড়ানোর ব্যাপার কোনও ভাবেই মানতে নারাজ ফেডারেশন। যে কারণে কড়া মনোভাব নিয়েছেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা।